কিশোরগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান রুমার বাড়িতে ভয়াবহ এক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টা ১৫ মিনিটে সদর উপজেলার রাকুয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় মুখোশধারী ৬-৮ জন ডাকাত বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নেয়।
ভুক্তভোগীরা বলেন, একটি নীল রঙের পিকআপ নিয়ে ডাকাত দল বাড়ির সামনে আসে। মুখোশ পরা ডাকাতরা প্রধান গেটের তালা ভেঙে ফটকের সিটকারি কেটে ঘরে ঢোকে। এরপর অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান রুমা, তার মা আনোয়ার জাহান ও শাশুড়িকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারি ভেঙে ভেতরে রক্ষিত ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৪ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তাদের পরনের গয়নাও ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।
আনোয়ার জাহান জানান, ‘আমার সামনে কুড়াল ধরে ভয় দেখায়। মেয়ের শাশুড়ি চিৎকার দিয়েছিল, কিন্তু তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেয়। শরীর থেকে গয়নাও খুলে নেয়।’
চিৎকার শুনে পাশে থাকা ইসরাত জাহানের দেবর হোসাইন সারোয়ার লিটন ছুটে আসেন। তিনি জানান, ডাকাতরা নীল পিকআপে পালিয়ে যায়। তাদের একজন শারীরিকভাবে কুঁজো ছিল, আর বাকিদের মুখ ঢাকা ছিল।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন ঈদু বলেন, এমন ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা এর আগে এই এলাকায় ঘটেনি। এতে মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহিদুল আলম বলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে ডাকাতদের গ্রেফতার ও লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনাটি কিশোরগঞ্জে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না হলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে অপরাধীদের গ্রেফতার এখন সময়ের দাবি।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ডাকাতির ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ না আসায় মামলা এখনো হয়নি। তবে তদন্ত চলছে এবং ডাকাতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
কেকে/ এমএস