বর্ষায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেরানীগঞ্জের নদীপাড়ে বাড়ছে ভাঙনের আশঙ্কা। ধলেশ্বরী, কালিগঙ্গা ও বুড়িগঙ্গা নদী ঘেরা এই উপজেলায় একাধিক এলাকায় ভাঙনের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের হাজারো মানুষ।
কলাতিয়ার খাড়াকান্দী, চর খাড়াকান্দী এবং রুহিতপুরের মুগারচর, লাখিরচর, চর সোনাকান্দা ও চর কুদ্দলিয়াসহ বহু গ্রামে গত কয়েক দশকে নদীভাঙনে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে গেছে। গেল বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেললেও এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাকি রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বর্ষার পানি বাড়ার পাশাপাশি যেসব এলাকায় শুকনো মৌসুমে নদীর পাড় কেটে প্রকাশ্যে মাটি বিক্রি হয়েছে, সেসব জায়গায় ভাঙনের ঝুঁকি আরো বেশি। নদীর পাড় দুর্বল হয়ে পড়েছে। দিনরাত ট্রাকে করে মাটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ইটভাটা ও জমিতে।
অভিযোগ রয়েছে, আগের সরকারের সময় যেভাবে মাটি কাটা হয়েছে, এখনো সেই ধারা চলছে। সরকার বদলেছে, কিন্তু মাটি চোরদের রূপ আর দখলদারি বদলায়নি।
মুগারচরের আল আমিন বলেন, বর্ষায় প্রকৃতির ভাঙন আর শুকনায় মানুষের লোভ—এই দুই মিলে আমরা বাঁচার জন্য লড়ছি।
চর খাড়াকান্দীর এক যুবক জানান, শুকনো সময় যেভাবে নদীর পাড় কাটা হয়েছে, তাতে এবার পানি বাড়ার সাথে সাথে যেকোনো সময় বড় ভাঙন দেখা দিতে পারে।
এখনো সময় আছে উল্লেখ করে স্থানীয়রা বলছেন, নদীভাঙন শুরুর আগেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে যেসব জায়গায় মাটি কাটা হয়েছে, সেসব এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে এবং নদীপাড়ে মাটি কাটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া জানান, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এআর