জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রিয়াজ মোর্শেদ বলেছেন, আমরা শরীয়তপুরের মানুষ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক হাজ্বী শরীয়তউল্যাহ ও মুজিববাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব কমরেড সিরাজ সিকদারের উত্তরসূরি। আজকে গোপালগঞ্জে ২৪’র বিপ্লবের মহানায়কদের ওপর শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দোসররা ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের আস্তানা গোপালগঞ্জের নাম নিশানা ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে মুছে দেওয়া হবে।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে শরীয়তপুর পৌর অডিটোরিয়ামের সামনে এনসিপি আয়োজিত দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিয়াজ মোর্শেদ বলেন, কীভাবে ১০ জনের আন্দোলন থেকে ১০ লাখ ও ১০ কোটি রূপান্তরিত হতে হয় আমরা তা জানি। আজকে গোপালগঞ্জে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, প্রশাসনের ভূমিকা কী ছিল আমরা তা দেখেছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাহিদ-আখতারসহ কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। না হয় আমরা শরীয়তপুর থেকেই মার্চ ফর গোপালগঞ্জ কর্মসূচি ঘোষণা করে ফ্যাসিবাদের আস্তানা গুড়িয়ে দেবে ছাত্র-জনতা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, এনসিপির শরীয়তপুর জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী সবুজ তালুকদার, অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম তারেক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির, যুগ্ম সদস্য সচিব কাওসার মৃধা, এনসিপির কেন্দ্রীয় শ্রমিক উইংয়ের সংগঠক ডা. আব্দুল্লাহ সানী, শহিদ ইমন হোসেন আকাশের মা বেবি, শহিদ মিরাজুল ইসলাম অর্নবের বাবা আবু তালেব, শহিদ রাজিব হোসেনের বাবা তোফাজ্জেল মাদবর, শহিদ জোনায়েদের বাবা শাহআলম ফরাজী প্রমুখ।
এর আগে গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিকালে শরীয়তপুর শহরে এনসিপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
প্রসঙ্গত, দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসাইনসহ অর্থশত কেন্দ্রীয় নেতার শরীয়তপুরে আসার কথা থাকলেও গোপালগঞ্জে হামলার কারণে তারা বর্তমানে খুলনায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
কেকে/ এমএস