চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের ধরতে বিশেষ বা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই ঘোষণার পরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় চাঁদাবাজদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে থানা পুলিশ।
খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রাম সংলগ্ন নদীতে বিচ্ছিন্নভাবে গত কয়েক মাস ধরে নৌযানে চাঁদাবাজির বেশ কয়েকটি খবর পাওয়া যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আড়ালিয়া গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। নৌ ও স্থলপথে চাঁদাবাজদের আনাগোনা আছে এরকম কয়েকটি স্থান ঘিরে ফেলা হয়। এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও অভিযানের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আড়ালিয়া গ্রাম সংলগ্ন নদীতে নৌ চাঁদাবাজদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। বিষয়টি নিয়ে বারংবার পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করা হলেও চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায়নি। অবশেষে পুলিশ চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আমরা খুশি। আমরা চাই পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হোক।
বিষয়টি সম্পর্কে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিসির আলী বলেন, এই অভিযানে পুলিশকে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে চাঁদাবাজদের অপতৎপরতা রোধে এখন থেকে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, জল এবং স্থল দুই পথেই আজকে আমরা আড়ালিয়া গ্রামে চাঁদবাজদের আনাগোনা থাকে এরকম কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালাই। আজকে নদীতে কোনো চাঁদাবাজকে পাওয়া যায়নি। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। গজারিয়ার জলপথ ও নৌপথে কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না।
কেকে/এজে