বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোসেন বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে এ দেশের ছাত্র-জনতা বীরত্ব ও ত্যাগের মধ্যদিয়ে প্রমাণ করেছেন তারা ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ্য উত্তরসূরি। নাগরিক ও পেশাজীবী হিসেবে সবাইকে নিজ নিজ কর্তব্য ও দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন আত্মমর্যাদাশীল সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি ও শান্তির স্থিতিশীল রাষ্ট্রশক্তিতে পরিণত করার মধ্যদিয়ে জুলাই শহিদদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রক্তযোদ্ধা সমাজ ও মানব কল্যাণ পরিষদের মাসব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি কাজী সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সম্মিলিত নাট্যকর্মী জোটের সাধারণ সম্পাদক কবির প্রধান।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন—ছড়াকার ও সাংবাদিক মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, যুব কাউন্সিলর মেহরাব হোসেন অপু, খোলা কাগজের পাঠক সংগঠন এগারজর সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন শুভ, সমাজকর্মী মোক্তার হোসেন মুক্তু, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের মনিরুল ইসলাম মনির প্রমুখ।
জুলাই আন্দোলনে শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে আফজাল হোসেন পন্টি বলেন, জুলাই যোদ্ধারা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন দেশের চেয়ে বড় কিছু নেই। সমাজের যে রীতিনীতি রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস শুধু তরুণদেরই আছে। যুবারা সেই তারুণ্যের ওপর ভর করে দেশের কাজে নিয়োজিত থাকবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
পরে অতিথিরা মাসব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে উদ্বোধন করেন। প্রথম দিনে প্রায় তিন শতাধিক সেবাগ্রহিতার রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়বেটিস পরীক্ষাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।
রক্তযোদ্ধা সমাজ ও মানব কল্যাণ পরিষদ কয়েক বছর ধরে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়বেটিস পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বেশ আলোচিত একটি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে জরুরি প্রয়োজনে রক্তদাতার সন্ধানে এটি একটি বড় প্লাটফর্মে রূপ নিয়েছে।
কেকে/এএম