রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার সর্বত্রই পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আমন আবাদ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
এখন আষাঢ় মাস। বর্ষাকাল। এই সময়ে মাঠ-ঘাট পানিতে তলিয়ে থাকার কথা। সেই সময়ে মাঠ-ঘাট পানিশূন্য। মাঠে মাঠে ছেলেরা ফুটবল খেলছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব পড়ছে আমন চাষে। কৃষকরা জানান, গত ১০ দিন আগে বৃষ্টিপাত হলেও ধীরে ধীরে শুকিয়ে গেছে জমির পানি।
কৃষকরা সে সময় জমিতে আমন ধান রোপণের জন্য চাষবাস করলেও পানি না থাকার কারণে চাষকৃত জমি শুকিয়ে গেছে। অধিকাংশ জমি ফেটে চৌচির হচ্ছে। পানির অভাবে কৃষকরা সঠিক সময়ে চারা রোপণ করতে পারছে না। আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা থাকলে বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখতে পারছেন না কৃষকরা। দিনের তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে। প্রখর রৌদ্রে জমির পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার হাবু, বালারঘাট, চেংমারী, চেংমারী মান্দ্রাইন, মৌলভীবাজার, মন্থনা, মর্নেয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ জমিতে পানি নেই। অনেক চাষকৃত জমি শুকিয়ে গেছে। কৃষকরা বাধ্য হয়ে শ্যালো কিংবা মোটর দিয়ে সেচ দিয়ে জমি চাষ, বলান ও চারা লাগানোর কাজ করছে। হাবু গ্রামের কৃষক রফিকুল বলেন, চাষ করা জমি শুকিয়ে গেছে বাধ্য হয়ে সোমবার শ্যালো দিয়ে পানি সেচ দিয়ে জমি চাষ করছেন।
কিসামত হাবু গ্রামের কৃষক আনিচ বললেন, এর আগে জমি ২টা চাষ দিয়েছেন। বর্তমানে জমিতে পানি নেই। আকাশের অপেক্ষায় আর থাকা যায় না। শ্যালো লাগানো লাগবে। চেংমারী মান্দ্রাইন এলাকার কৃষক নরেন চন্দ্র জানান, তার চাষকৃত ৩ বিঘা জমি শুকিয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে সোমবার মোটর দিয়ে পানি সেচ দিচ্ছেন জমিতে। ওই এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, তার ২ বিঘা জমির পানি শুকিয়ে গেছে। বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন তিনি। চারার বয়সও দিন দিন বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহিনুর ইসলাম বলেন, এখনই আমন চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। জমিতে পানি না থাকলে সেচ দিয়ে চারা লাগানোই উত্তম। বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে চারার বয়স বেশি হয়ে গেলে ফলনে বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা বেশি।
কেকে/এএস