টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ১ ডজনের বেশি মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসীর ধারণা বুধবার (২ জুলাই) ভোর রাতে মাদক, বালু ব্যবসা এবং চাঁদাবাজির টাকা ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়ে থাকতে পারে চাকমা জাহাঙ্গীর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাকমা জাহাঙ্গীর গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের মধ্য শাখারিয়া গ্রামের নাজিম উদ্দীনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে গোপালপুর, ভূঞাপুর ও মির্জাপুর থানায় মাদক, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ১ ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দায়ের করা এলাকাবাসীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, যমুনার ঘাটে অবৈধ বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, সড়ক পথে ডাকাতি, নারী নির্যাতন ও চাঁদবাজির সংঘবদ্ধ একটি গ্যাং চালাত চাকমা জাহাঙ্গীর। এদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দরুন টাঙ্গাইল ও জামালপুরের যমুনা নদী তীরের জনপদ অশান্ত হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার (১ জুলাই) গভীর রাতে চাকমা জাহাঙ্গীর অজ্ঞাত স্থান থেকে ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই বাজারে আসে। সেখান থেকে নলিন বাজারে ফেরার পথে শাখারিয়া স্লুইস গেট এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায়। তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। মরণাপন্ন অবস্থায় প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হেমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম রোজ তালুকদার জানান, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল, লোকমুখে শুনেছি তার প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছে।
গোপালপুর থানার ওসি গোলাম মুক্তাদির আশরাফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বহু মামলার আসামি সন্ত্রাসী চাকমা জাহাঙ্গীরের নাগাল পাচ্ছিল না পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইলের মর্গে রয়েছে। দুপুর ১-২টা পর্যন্ত কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি।
কেকে/এএস