বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত রিকশাচালক তুহিন হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর বিরুদ্ধে রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে। উচ্চ আদালতে আইভীর জামিন আবেদন থাকায় আদালত রিমান্ড শুনানি পিছিয়ে আগামী ৭ জুলাই পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
সোমবার (৩০ জুন) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঈনুদ্দিন কাদেরের আদালত এ আদেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক এ মেয়র ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। শুনানিতে আইভীকে কারাগার থেকে ভিজুয়ালি যুক্ত করা হয়। রিকশাচালক তুহিন হত্যা মামলায় সেলিনা হায়াত আইভী ১১ নং আসামি।
গত ৯ মে ভোরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের নিজবাড়ি থেকে গ্রেফতার হন আইভী। এরপর তাকে মোট ৬টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ইতোমধ্যে দুই দফায় পুলিশি রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে তাকে।
সোমবার সকালে এ মামলায় পুলিশ উক্ত আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। পরে আইভীর পক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন শুনানির অপেক্ষমান থাকার বিষয়টি আদালতকে জানায়। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ওই আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ২০ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় রিকশাচালক তুহিন (৩৬)। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আলেয়া আক্তার মীম বাদী হয়ে গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আইভীর আইনজীবী অ্যাড. আওলাদ হোসেন জানান, রিকশাচালক তুহিন হত্যা মামলায় আইভী ১১ নাম্বার আসামি। মামলার এজহারে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ নাই। আমরা তার জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি। সেটি বিবেচনায় বিচারক রিমান্ড শুনানি আগামী ৭ জুলাই ধার্য করেছেন।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শামীম ওসমান ও আইভীর নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে হামলা চালানো হয়। এ সময় গুলিতে রিকশাচালক তুহিন মারা যায়। এই মামলায় পুলিশ আইভীর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন শুনানির অপেক্ষায় থাকায় আদালত পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ জুলাই ধার্য করেছেন।
কেকে/এএস