বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন, রোববার আকস্মিকভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন আমার বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের এ অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে এক প্রেস ব্রিফিং প্রদান করে যা প্রায় সকল টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রচার করা হয়। এই প্রেস ব্রিফিং আমাকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে এবং এই তথাকথিত অভিযোগের কোনো বিষয়বস্তু নেই তা আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই।
সোমবার (১৬ জুন) বিকালে নাসের রহমানের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানান।
এম নাসের রহমান বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জন কেবলমাত্র ক্ষমতায় থাকলেই কারো পক্ষে অর্জন করতে পারা সম্ভব। বিএনপি গত প্রায় ১৯ বছর ক্ষমতায় বাইরে। তাই কীভাবে আমি তথাকথিত ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’ করলাম তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। ১৯ বছর ক্ষমতার বাইরে বিরোধী দলে থেকে কোনো বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের আজগুবি ও বাস্তবতা বিবর্জিত অভিযোগ কিভাবে হতে পারে তা বোধগম্য নয়।
এম নাসের রহমান প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, এই প্রেস ব্রিফিং যে উদ্দেশ্য প্রনোদিত তা স্পষ্টত প্রতীয়মান। কারণ কারো বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার আগে মিডিয়ার পাবলিক ট্রায়াল করা দুদকের কাজ হতে পারে না। আমি একজন সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য। আমাকে কোন নোটিশ না পাঠিয়ে ও না জানিয়ে মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে কথিত অনুসন্ধানের প্রচার করা সম্পূর্ণ অবৈধ ও স্পষ্টত মানহানীকর। আমি অবিলম্বে তাদের এই বাস্তবতা বিবর্জিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এই বিষয়ে আমি আমার আইনগত প্রতিকারের উদ্দেশ্যে আমার আইনজীবীদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিব।
এ ব্যাপারে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেন, দুদক যে জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া করছে আওয়ামী লীগ সরকার নয় বছর আগে এসব তদন্ত করে কিছু পায় নাই। যদি কিছু থাকতো আওয়ামীলীগ সরকারই তো আমাকে ধরতো। এটা করে দুদক নিজেদেরকেই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।
কেকে/এজে