উত্তরা ১০নং সেক্টর কামারপাড়া পশুর হাটে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখের মধ্যে মিলছে গরু। তুলনামূলকভাবে ক্রেতা ঝুঁকছেন এই হাটে। এদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে উত্তরা দিয়াবাড়ি পশুর হাট থেকে চার জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
বুধবার (৪ মে) দুপুর থেকে জমে উঠেছে উত্তরা ১০নং সেক্টরের পশুর হাট।
এদিন সকাল থেকে বিক্রি তেমন ভালো না হলেও দুপুর গড়িয়ে আসতেই জাঁকজমকভাবে জমে ওঠে উত্তরা ১০নং সেক্টর কামারপাড়া পশুর হাট। কুরবানির পশুতে কানায় কানায় পূর্ণ হাটটিতে তিনটি হাসিল ঘর রয়েছে, তবে ন্যায্য দামে পশু বিক্রয় করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারাও। হার্টের সম্পূর্ণ এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণের থাকায় ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারণে এখন পর্যন্ত কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হাটে আগত ক্রেতা ও বেপারীদের আর্থিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে স্থাপন করা হয়েছে জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন ও এটিএম সিআরএম বুথ। সেই সাথে রয়েছে অনলাইন ব্যাংকিং নগদ রকেট বিকাশ ও ইউক্যাশ। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট।
তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে উত্তরার দিয়াবাড়ি পশুর হাটে। আজ দুপুরে গরু ছাগলের বেপারীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা। এই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইজারাদার এসএ ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজ।
এমন ঘটনার পর অনেক ব্যাপারী দিয়াবাড়ি হাট থেকে ১০ নম্বর হাটে গরু নিয়ে আসতে চাইলেও বাধা দিচ্ছেন ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ করেছেন পাবনা থেকে আসা মো. লোকমান মিয়া নামে এক ব্যাপারী।
তিনি বলেন, এই হাটে দাম পাওয়া যাচ্ছে না, আবার যে পরিমাণ পশু রয়েছে সে পরিমাণ ক্রেতা নেই। অন্যদিকে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা হাট পরিত্যাগ করতে চাচ্ছি। কিন্তু ইজারাদার কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে হাট ছাড়তে দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইজারাদার কর্তৃপক্ষের স্বত্বাধিকারী ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএ খোকনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
পরে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. রাহাৎ খান দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, এখন অবধি আমাদের কাছে এই ধরনের কোন তথ্য নেই, সেনাবাহিনী আমাদের কাছে কোন আসামি জমা দেয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কেকে/এজে