কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও দ্বারা পরিচালিত রোহিঙ্গাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থানীয় ১২৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে হঠাৎ একযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বন্ধ করে দিয়েছে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্থানীয়রা।
এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী, অ্যাম্বুলেন্স এবং যাত্রী ও পথচারীসহ হাজার হাজার লোকজন। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়ার কোটবাজার এবং টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের উনচিপ্রাং এলাকায় পৃথক পৃথক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
আন্দোলনকারী নেতারা জানান, এনজিও সংস্থা মুক্তি, কোডেক, ব্র্যাক, ফ্রেন্ডশিপ এবং ধারা নামক এনজিওগুলোর পরিচালিত রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের স্কুলগুলোতে রোহিঙ্গা শিক্ষকদের রেখে স্থানীয় ১২৫০ জন শিক্ষককে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। যার ফলে প্রতিবাদেই রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে বলে বলে দাবি করেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষক মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শিশুদের পাঠদানে আমরা দীর্ঘ বছর ধরে কাজ করেছি। কিন্তু এখন হঠাৎ স্কুলগুলোতে রোহিঙ্গা শিক্ষকদের রেখে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এসব নিয়ে আগেও আন্দোলন করেছি, আমরা কোনো ফল পায়নি। এখন আবার বাধ্য হয়ে পথে নেমেছি।
উপজেলার কোটবাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা একটাই দাবি করছেন হয় তাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। তারা আরো বলেন, আমরা বারবার শরণার্থী কমিশন ও সংশ্লিষ্ট এনজিওদের কাছে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। তারা শুধু অর্থ সংকটের অজুহাত দিচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করছি। তারা আরো বলেন, যদি অর্থ সংকট হয়ে থাকে তাহলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্থানীয় শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছে। হোস্ট কমিউনিটির যে সব শিক্ষকদের চাকরি চলে গেছে তাদের চাকরি ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত গতকাল থেকে সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন।
কেকে/এএস