বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রস্তাবিত নতুন অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটকে ‘স্বপ্নহীন  যাত্রার নৈরাশ্যজনক বয়ান’ হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন, বাজেটে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থবিরতা আর দূর্বলতাসমূহ ঢেকে রাখা যায়নি।

সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় প্রস্তাবিত নতুন অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।

সাইফুল হক বলেন, ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেশে সীমাহীন অমানবিক বৈষম্য বিলোপে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ লক্ষ্য  করা যাচ্ছে না। অর্থনীতির মন্থর গতি ও স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে অর্থ উপদেষ্টা তার প্রস্তাবনায় আশাব্যাঞ্জক প্রস্তাবনা দেখা যাচ্ছে না। বাজেট প্রস্তাবনায় বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও আশাব্যঞ্জক কিছু পাওয়া যায়নি। অথচ এটা ছিল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের বড় অগ্রাধিকার। 

তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে এনে সামগ্রিক জাতীয় প্রবৃদ্ধি কিভাবে বৃদ্ধি করা যাবে বাজেটে এ ব্যাপারে মনোযোগ কম দেখা গেছে।

জব্দ করা অর্থ বাজেটে যোগ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, রাজস্ব সংগ্রহের ব্যাপারে এখনও পুরানো জমানার ধারা অব্যাহত রয়েছে। বিগত পনেরো বছরে লুটকৃত অর্থের একাংশ জব্দ করা গেলে  বাজেটের আকার আরো বড় হতে পারতো।
 
তিনি বলেন, চরম দারিদ্র্যে থাকা সোয়া চার কোটি মানুষ কিভাবে দারিদ্র্যের অমানবিক চক্কর থেকে বেরিয়ে আসবে তার সুস্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেই। এ সরকারের আমলে নতুন করে যে ২৭ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে নেমে এসেছে বাজেটে এ সম্পর্কেও কোন বক্তব্য নেই।

বাজেট সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন বহু বছরের দূর্বৃত্ত ও মাফিয়া কবলিত অর্থনীতি থেকে কিভাবে দেশ বেরিয়ে আসবে তারও কার্যকরী কোন পরিকল্পনা নেই। 

তিনি বলেন, অর্থ উপদেষ্টা সীমিত সম্পদের মধ্যে নানা খাতে ভাগ বাটোয়ারা করার চেষ্টা করলেও আখেরে জীন যাত্রার ব্যয় মিটাতে হিমশিম খাওয়া  সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে আশ্বস্ত করতে পারেনি।

সর্বোপরি বাজেটে স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের জন্য কোন উপযুক্ত সুরক্ষার প্রস্তাবনা নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

কেকে/ এমএস