‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ ভয় নাই ওরে ভয় নাই/ নিঃশেষে প্রাণ, যে করিবে দান/ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই...।’ সত্যি সেই কবে কবি বলে গিয়েছিলেন এ কথা। যুগ যুগ ধরে সেই কথাই যেন বারবার সত্য হয়ে ফিরে এসেছে এই বাংলায়। মানুষের জন্য যারা নিঃশেষে প্রাণ বিলান তাদের কখনও ক্ষয় হয় না।
তাদের কেউ শেষ করতে পারে না। মানুষের ভালোবাসায় তারা ফিরে আসেন বারবার। তেমনি এক মানুষ অন্তপ্রাণ ব্যক্তি সাইফুল খাঁন নূর আলম। তিনি সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের মজুমদার হাট আলো বক্স খাঁন বাড়ির বাসিন্দা সৈয়দ আহাম্মদের ছেলে। বিএনপি টানা ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকায় ২৭টি রাজনৈতিক তথা গায়েবি মামলার আসামি হতে হয়েছিল দলপাগল নূর আলমকে।
সাবেক জেলা ছাত্রদল নেতা ও জেলা যুবদলের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুল খাঁন নূর আলম ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপির সঙ্গে রাজপথে থেকে তৃণমূলের রাজনীতি করে আসছেন ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবীর হাত ধরে ছাত্রদলের রাজনীতি ও পরবর্তীকালে বর্তমান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিকের নেতৃত্বে তিনি জেলা যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
বর্তমান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় যুবদলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। যার ফলে পরবর্তী সময়ে দলের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে সাইফুল খাঁন নূর আলম একাধিকবার বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ হয়। স্বৈরাচারী সরকার আওয়ামী লীগ শাসনামলে জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিবাদ মিছিল মিটিংয়ে তিনি একান্ত ভূমিকা রেখেছেন।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন সময় তার নামে ২৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তাকে বারবার কারাগারে যেতে হয়েছিল। ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার যাওয়ার পথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাগলনাইয়া উপজেলার মুহুরীগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার গাড়িবহরে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে। খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। সেদিন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে সাইফুল খাঁন নূর আলমও ছিলেন। তৃণমূল পর্যায়ের তার সমর্থক অসংখ্য নেতাকর্মী বলেন, সাইফুল খাঁন নূর আলম তৃণমূল থেকে বেড়ে ওঠা একজন ক্লিন ইমেজধারী ব্যক্তি।
স্বৈরাচারী সরকারের সব প্রতিবাদ, মিছিল-মিটিংয়ে তার ভূমিকা ছিল অটল। দলের প্রতি তার অনেক ত্যাগ রয়েছে। এসব ত্যাগীদের মাধ্যমে একটি সমাজের উন্নয়ন সম্ভব। এ ধরনের মানুষ যদি সমাজের নেতৃত্বে আসে তাহলে আমরা সঠিক নেতৃত্ব পাব, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন হবে। সবশেষ গত ২ মে শহিদ জিয়া স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. রেজাউল কবির দিপু ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল আল আমিন সম্রাট স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শহিদ জিয়া স্মৃতি সংসদ ফেনী জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে সাইফুল খাঁন নূর আলমকে নির্বাচিত করা হয়।
এ সময় সাইফুল খাঁন নূর আলমের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলতেন, প্রশিক্ষিত কর্মী হচ্ছে রাজনৈতিক দলের প্রাণ। আমি একজন পরীক্ষিত, প্রশিক্ষিত কর্মী। রাজপথ থেকে, তৃণমূল থেকে উঠে আসা কর্মী হিসেবেই নিজেকে দেখছি। আগামী দিনে দল আমাকে যোগ্য মনে করে যে দায়িত্ব দেবে আমি সততার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব।
কেকে/এএস