দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় চলতি সপ্তাহজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
শনিবার (১০ মে) বিকাল ৩টার দিকে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, এদিন বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল মাত্র ১৬ শতাংশ। এর ফলে তাপমাত্রার প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। এর আগের দুই দিনেও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গাতেই— শুক্রবার ৪১.২ ডিগ্রি ও বৃহস্পতিবার ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের রিকশাচালক হামিদুর রহমান বলেন, তিন দিন ধরে প্রচণ্ড রোদে রিকশা চালানো যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পরপর থেমে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে।
মুদি দোকানি আব্দুল হামিদ বলেন, ফ্যান চললেও বাতাস যেন লাগছে না। রাতে ভ্যাপসা গরমে ঘুমানো যাচ্ছে না।
তীব্র রোদের প্রভাবে শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে দুপুরের পর থেকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। অতিরিক্ত গরমে রাস্তায় পিচ গলতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া, হিটস্ট্রোক ও গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের চাপ বাড়ছে প্রতিদিনই। স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, গরমে পানিশূন্যতা রোধে সবাইকে প্রচুর পানি ও পানীয় তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন এ তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তাই দিনের মাঝামাঝি সময়, বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন ও আবহাওয়া বিভাগ।
কেকে/এএম