বান্দরবানের দুর্গম থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের একটি গহিন জঙ্গল থেকে চিংমা খেয়াং (২৯) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) বিকালে তিন্দু ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মংখ্যং পাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি জঙ্গল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত চিংমা খেয়াং একই এলাকার বাসিন্দা সুমন খেয়াংয়ের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের জননী।
ঘটনার পর ৫ মে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এদিকে খেয়াং নারীর মৃত্যুর ঘটনার পর এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, স্থানীয়দের অনেকেই ধারণা করছেন, চিংমা খেয়াংকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার কারণে তাদের এই আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়।
এদিকে এই ঘটনার পর পরই মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার মো.শহীদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.আবু তালেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. আবদুল করিম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে বলে জানিয়ে সামাজিকমাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন গুজবে কান না দিয়ে ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে পুলিশকে সহায়তা করার আহ্বান জানান বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো.শহীদুল্লাহ কাওছার।
এদিকে ঘটনাটি একটি দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড সেজন্য প্রশাসন কাজ করছে বলে জানান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত : ৫ মে চিংমা খেয়াং সকালে জুম চাষের জন্য পাহাড়ে যায়, কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় স্থানীয়রা তাকে খুঁজতে বের হন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তারা জঙ্গলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পায় এবং তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
এদিকে এ ঘটনার পর তার স্বামী বাদী হয়ে আজ সকালে থানচি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কেকে/ এএস