কুমিল্লা নগরীর চকবাজারে দুই তেলের পাম্পকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তেল পরিমাপের ৪টি ডিসপেন্সিং ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৬ মে) কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
বিএসটিআই কুমিল্লা কার্যালয় পরিচালক এম হানিফ বলেন, নগরীর চকবাজার এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযানে মেসার্স শরীফ এন্টারপ্রাইজের দুটি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে ১৯০ মিলি ও ২০০ মিলি তেল কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। একই পাম্পের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটেও প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে ১৯০ মিলি ও ২২০ মিলি তেল কম দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এই গুরুতর অপরাধে পাম্পের চারটি ইউনিট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, একই এলাকার মেসার্স এম এ হাকিম অ্যান্ড ব্রাদার্সের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটেও তেলের মাপে কারচুপির চিত্র দেখা যায়। পাম্পটির এই দুটি ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে গ্রাহকদের যথাক্রমে ৩৪০ মিলি ও ৩৯০ মিলি তেল কম দেওয়া হচ্ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে এই দুটি ইউনিটও সিলগালা করে দিয়েছে বিএসটিআই।
তবে, অভিযানে চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার এলাকার তিনটি পাম্পে জ্বালানি তেল পরিমাপে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি। মেসার্স আম্বর আলী অটো ফিলিং স্টেশন, মিয়া বাজার ফিলিং স্টেশন এবং মেসার্স হাবিব ফিলিং স্টেশনের ডিসপেন্সিং ইউনিটগুলোতে তেল পরিমাপ সঠিক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মো. লুৎফর রহমান এবং মো. হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এই সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালিত হয়।
কেকে/এএস