গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ পরিত্যক্ত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন মরা লাশ, এই মরা লাশ নিয়ে টানাটানি করে কোন লাভ হবে না। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই মরা লাশকে কবর দেওয়া, যাতে এই মরা লাশ দূর্গন্ধ না ছড়ায়।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর চেয়ারম্যান বাজারে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পরে আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতে পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে ভারতীয় তাবেদার ও এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী রাজনৈতিক দল। তারা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মধ্যদিয়ে সেটার প্রমাণ হয়েছে। তাই আওয়ামী দুর্বৃত্তদের বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। তারা এই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবেনা।
তিনি আরো বলেন,আমরা এই সরকারের সাথে যতোবারই আলোচনায় বসেছি, ততোবারই দাবি জানিয়েছি, অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনগুলোকে সন্ত্রাসী ও গণহত্যাকারী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগকে যেভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, আশা করি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
ভিপি নূর বলেন, এই সরকার সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থিত সরকার। এই সরকারের কোন বিরোধী দল নাই। আমরা কেউ এই সরকার বিরোধী না।
রাষ্ট্র সংস্কার বাস্তবায়নে সকলে মিলে আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করছি।
এসময় গন অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট ফিরোজ আহমেদ মুন্সী, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট মাঝি, শরীয়তপুর জেলার সাবেক সদস্য সচিব শাহজালাল সাজুসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এমএস