জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথপুর দোল যাত্রার মেলায় পুতুল নাচের নামে অশ্লীলতা চলছিল। যার ছিলো না কোন প্রশাসনিক অনুমোদন। ঈদের দিন থেকে তারা অশ্লীল নাচ পরিবেশন করেরে আসছিল।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে মেলায় গিয়ে দুইটি পুতুল নাচের (ছায়াবাজি) প্যান্ডেল গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, উপজেলার গোপীনাথপুরে ৫ শ ২০ বছরের ঐতিহ্যবাহী দোল যাত্রার মেলা বসে। মেলায় ঘোড়া, গরু, মহিষ, কসমেটিকস, মিষ্টান্ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্রয়-বিক্রয় মাসব্যাপী চলে।
এবারের মেলা রমজান মাসে হওয়ায় সাংস্কৃতিক ও বিনোদনের কোনো অনুমোদন ছিল না।
১ এপিল থেকে সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এবার একটি যাত্রাপালার অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে মঙ্গলবার বিকাল থেকে মেলায় দুইটি পুতুল নাচের (ছায়াবাজি) প্যান্ডেলে দেদারছে অশ্লীল নিত্য প্রদর্শিত হচ্ছিল। এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম পুলিশ ফোর্স নিয়ে মেলায় গিয়ে পুতুল নাচের দুইটি প্যান্ডেল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই পালিয়ে গেছে পুতুল নাচের আয়োজকরা।
মেলায় আসা একজন দর্শনার্থী বলেন, পরিবার নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছিলাম। এসে দেখি এখানে পুতুল নাচের ভেতরে অশ্লীল নাচ দেখানো হচ্ছে।
মেলা কমিটির সভাপতি ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, মেলায় প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে দুইটি পুতুল নাচ (ছায়াবাজি) চলছিল।
সেখানে অশ্লীল নিত্য প্রদর্শনের অভিযোগে অনুমোদনহীন দুইটি প্যান্ডেলই ভেঙে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে তারা পুতুল নাচের নামে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করছিল। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই মেলায় গিয়ে দুইটি পুতুল নাচের প্যান্ডেলই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ে সুপারিশক্রমে শিল্পকলা একাডেমিক কর্তৃক অনুমোদিত একটি যাত্রার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানেও অশ্লীলতার অভিযোগ পেলে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
কেকে/এআর