আলোর পথে ছুটছে বাংলাদেশের জিমন্যাস্টিকস
বদরুল আলম চৌধুরী
🕐 ৫:৪১ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০২৩

স্বাধীনতা উত্তোর পারফরম্যান্সের তলানীতে থাকা জিমন্যাস্টিক যেন আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। বুধবার (২৪ মে) এমনাটাই শোনালেন বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আহমেদুর রহমান বাবুল।
তিনি বলেন, একটা সময় বাংলাদেশের জিমন্যাস্টিকসে বলার মতো তেমন কিছুই ছিলো না। সময়ের প্রেক্ষাপটে সে দৃশ্যপটে পরিবর্তন এসেছে।
বর্তমান সভাপতি বশির আহমেদ মামুন এর ভুয়শী প্রশংসা করে জানান, সভাপতির আন্তরিকতায় আমাদের জিমন্যাস্টিকস এখন আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। একটা সময় সরঞ্জাম ছিলো না, সভাপতির কল্যাণে সে চাহিদা অনেকটা দূর হয়েছে। জিমন্যাস্টদের জন্য রাখা হয়েছে উন্নত মানের কোচ। সব মিলে বর্তমানে আমাদের জিমন্যাস্ট এখন দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডি ছাড়িয়ে আরো উচ্চতায় পৌছে গেছে। আমাদের জিমন্যাস্টরা এখন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলো থেকে পদক জয়েরও সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এমন কি পরবর্তী অলিম্পিক গেমস থেকে পদক জয়েরও দু:সাহসিক সম্ভাবনার কথা শোনালেন এই সংগঠক।
তিনি জানান, আসন্ন প্যারিস গেমসের পরের অলিম্পিকে পদক জয় করতে চায় বাংলাদেশ। সে প্রস্তুতিও তারা এখন থেকে শুরু করে দিয়েছে বলে জানান।
আসন্ন এশিয়ান জুনিয়র জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়ন শিপ অনুষ্ঠিত হবে ৯-১২ জুন। ৪৪টি দেশ এতে অংশ নিচ্ছে। তারই অংশ হিসাবে আজ সম্পন্ন হয়েছে দু’দিন ব্যাপী ভিন্ন ধরণের এক প্রস্তুতি মূলক প্রতিযোগিতা। যেখানে ছয় প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। ভিন্ন এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্যটাই ছিলো প্রতিযোগিদের সাহস তৈরি করা। কারণ প্রতিযোগিতায় মোকাবেলা করতে হবে চীন, জাপান, তাইওয়ান ও কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দেশগুলো প্রতিযোগিদের। এই প্রতিযোগিতায় অবশ্য বাংলাদেশের লক্ষ্যটা হচ্ছে অস্টম স্থানে থাকা। আর তাতেই কিনা বিশ্বপরিমন্ডলে আলোচনায় চলে আসবে বাংলাদেশ। এমনটাই শোনালেন জিমন্যাস্টিকসের কোরিংয়ান কোচ চো সং ডং। প্রতিযোগিদের পারফরম্যান্সে খুশি কোরিয়ান কোচ। এই কোচের অধীনে গত ১১ মাস অনুশীলন করেছে প্রতিযোগিরা। আর তাতে যে উন্নয়ন ঘটেছে তাতে ফেডারেশন কর্তারাও খুশি।
সাধারণ সম্পাদক বাবুল বলেন, গত ১১ মাসে আমাদের জিমন্যান্টিকসের যতটুকু উন্নয়ন ঘটেছে বিগত চল্লিশ বছরেও তা হয়নি। আন্তর্জাতিক ভাবে এখন আমাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক দেশই এখন আমাদের সমীহ করতে শুরু করেছে। কারণ আমরা এখন অনেক প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছি এবং ছেলেরাও ভালো করছে। সবাই এতটুকু বুঝতে পারছে যে বাংলাদেশ এখন সম্ভাবনাময় একটি দেশ।
বাবলু বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়েছি। সেন্ট্রাল সাউথ এশিয়ায় দুটি গেমসে অংশ নিয়েছি। সর্বশেষ প্রতিযোগিতাটি ছিল ২০২১ সালে। সিঙ্গাপুরের টুর্নামেন্টের ছয়টি ইভেন্টে অংশ নিবে বাংলাদেশের জিমন্যাস্টরা। এগুলো হচ্ছে ফ্লোর এক্সারসাইজ, প্যারালাল বার, পমেল হর্স, স্টিল রিং, হরিজেন্টাল বার ও ভল্টিং টেবিল। তন্মধ্যে ভল্টিং টেবিল ও পমেল হর্সে বেশী ভালো করার আশা করছেন বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের এই সাধারন সম্পাদক। তার মতে ভাগ্য সহায় হলে ইভেন্টগুলোতে পদকও পেয়ে যেতে পারেন বাংলাদেশের জিমন্যাস্টরা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
