গৌরব অর্জনে গোল্ডার
রোকেয়া ডেস্ক
🕐 ৬:০৬ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২২
![গৌরব অর্জনে গোল্ডার](http://www.kholakagojbd.com/upload/2022/may/40_1.jpg)
গোল্ডা মেয়ার জন্ম ১৮৯৮ সালের ৩ মে। আর মৃত্যুবরণ করেন ৮ ডিসেম্বর, ১৯৭৮) রুশ সাম্রাজ্যের কিয়েভে জন্মগ্রহণকারী ইসরায়েলের বিশিষ্ট প্রমিলা শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। এছাড়াও তিনি ইসরায়েলের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এরফলে তিনি ইসরায়েলের প্রথম তথা বিশ্বের চতুর্থ মহিলা প্রধানমন্ত্রী হবার গৌরব অর্জন করেন। এরপূর্বে তিনি শ্রম ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব ছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
ব্লাম নেইডিচ ও মোশে মাবোভিচ দম্পতির সন্তান ছিলেন তিনি। শেনা ও জিপকে নাম্নী তার দুই বোন ছিল। ১৯০৩ সালে কাজের সন্ধানে কাঠমিস্ত্রী বাবা মোশে মাবোভিচ নিউইয়র্ক সিটিতে চলে যান। তার অনুপস্থিতিতে পরিবারটি পিনস্কে এলাকায় অবস্থিত মাতুলালয়ে অবস্থান করে। ১৯০৫ সালে উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে উচ্চ বেতন নিয়ে কাজ করেন ও স্থানীয় রেলরোডের উদ্যানে ওয়ার্কশপ খোলেন মোশে। পরের বছর পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করে পরিবারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসেন। চৌদ্দ বছর বয়সে নর্থ ডিভিশন হাইস্কুলে অধ্যয়ন করেন ও খণ্ডকালীন কাজে মনোনিবেশ ঘটান। মা তাকে বিদ্যালয় ত্যাগের আদেশ দেন ও বিয়ে দিতে চান। কিন্তু তিনি না-রাজী হওয়ায় টিকেট কেটে কলোরাডোর ডেনেভারে বিবাহিতা বোন শেনা কর্নগোল্ডের সংসারে অবস্থান করেন। সেখানে বুদ্ধিবৃত্তিক সান্ধ্যকালীন আসরে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের পুণর্বাসন, সাহিত্য, মহিলাদের মতপ্রকাশ, শ্রমিক আন্দোলনসহ বিবিধ বিষয়ে অনুষ্ঠিত বিতর্কে অংশ নিতেন।
রাজনৈতিক জীবন
২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে লেভি ইশকোলের আকস্মিক দেহাবসান ঘটে। এরফলে ১৭ মার্চ, ১৯৬৯ তারিখে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ইসরাইলের রাজনীতিতে ‘আয়রন লেডি’ নামে তাকে ডাকা হতো যা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের উপাধি থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ন তাকে সরকারের সেরা ব্যক্তি নামে আখ্যায?িত করেন।প্রায়শঃই তাকে প্রবল ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন, স্পষ্টভাষী ও ইহুদিব্যক্তিদের দাদী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ইয়ম কিপ্পুর যুদ্ধ শেষ হবার পর ১৯৭৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। ৩ জুন, ১৯৭৪ তারিখে আইজাক রবিন তার স্থলাভিষিক্ত হন।
ব্যক্তিগত জীবন
কলোরাডোর ডেনেভারে মরিস মেয়ারসন নামীয় চিত্রকরের সাথে পরিচিত হন ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঘটান। ফিলিস্তিনে আবাসন গড়ার পূর্ব শর্ত পালনে ২৪ ডিসেম্বর, ১৯১৭ তারিখে উভয়ে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে তারা আসতে পারেননি। বিয়ের কিছুদিন পর পোল জিয়নের জন্য অর্থসংগ্রহের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারণা চালান। ১৯২১ সালে শেনাসহ এ দম্পতি ফিলিস্তিনে স্থানান্তরিত হন। তাদের সংসারে মেনাখেম ও সারাহ নামের সন্তান ছিল। ১৯৭৮ সালে লিমফোমায় আক্রান্ত হয়ে তার দেহাবসান ঘটে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
![](http://www.kholakagojbd.com/images/archive-image.jpg)