ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিচার দাবিতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ

সুদীপ্ত শামীম, সুন্দরগঞ্জ
🕐 ৭:২৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২৩

বিচার দাবিতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ’র শাস্তি ও বদলির দাবিতে মানববন্ধন করেছে চিকিৎসকসহ হাসপাতালের স্টাফরা।

 

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুর দুইটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

এর আগে, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশীদ রেজা সরকার ডাবলু ও কয়েকজন কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবুল ফাত্তাহ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীদের সাথে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ, বেতন ভাতা বন্ধ, বেতন বিলিতে গড়িমসি ও বেতনের টাকার একাংশ কেটে নেয়াসহ নানা কারণে ফুঁসে উঠেছে চিকিৎসক ও নার্সসহ হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ রেজওয়ান আহমেদ, ডাঃ শাকিরা বিল্লাহ, সেনেটারী ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ নার্স ফজলুল হক, নার্স সুপারভাইজার জুলেখা বেগম, নার্স সাজিনা বেগম, মিডওয়াইফ শিরিনা বেগম প্রমুখ।

জানা যায়, ডাঃ মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ২০২১ সালের ৩১ মার্চ যোগদান করেন। এরপর থেকেই সহকর্মীদের সাথে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও বেতন আটকিয়ে টাকা দাবিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন ওই কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে গত সপ্তাহে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন হাসপাতালের চিকিৎসকসহ স্টাফরা।

এবিষয়ে সুন্দরগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুর রশীদ রেজা সরকার ডাবলু বলেন, হাসপাতালের কর্মকর্তা ডাঃ আবুল ফাত্তাহকে অবরুদ্ধ রাখার খবর পেয়ে কয়েকজন কাউন্সিলরসহ হাসপাতালে ছুটে যাই। পরে কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা আলোচনা করি। একইসঙ্গে কর্মচারীদের উত্থাপিত দাবি-দাওয়া আগামী সাতদিনের মধ্যে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ নিষ্পত্তির আশ্বাস প্রদান করায় কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা শান্ত হয়ে কাজে ফিরে যায়। পরে আমরা চলে আসি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছে। তাদের অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।

 
Electronic Paper