মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
এইচ এম আলমগীর কবির, সিরাজগঞ্জ
🕐 ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
![মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড](http://www.kholakagojbd.com/media/upload/2023/10/25%20(2)_3.jpg)
নিজের শিশু কন্যাকে মাটিতে আছড়ে হত্যার দায়ে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পিতা মনিরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অনাদায়ে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ করেছেন।
রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এ রায় ঘোষণা দিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম রঞ্জু (২৫) উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার চৌবিলা পশ্চিম পাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।
আদালতের অতিরিক্ত (পিপি) জেবুন্নেছা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম রঞ্জু নিজেই তাঁর শিশু সন্তানকে হত্যা করেছেন। এ বিষয়ে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন এবং ৫০ হাজার অর্থদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে আগামী ৭ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সলঙ্গার চৌবিলা পশ্চিম পাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে মনিরুল ইসলাম রঞ্জুর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার নজরুল ইসলামের মেয়ে নাজনীন নাহারের সঙ্গে ২০২০ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় মনিরুল ইসলাম রঞ্জু তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। এর মধ্যে নাজনীন নাহার একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। পারিবারিক বিরোধের কারণে নাজনীন নাহার তার বাবার সঙ্গে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। ২০২২ সালের ২৭ মার্চ নাজনীন নাহার তার গ্রামের বাড়ি উল্লাপাড়ায় বেড়াতে যান।
নাজনীনের খবর পেয়ে ২৯ মার্চ মনিরুল ইসলাম রঞ্জু আত্মীয়-স্বজন নিয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে যান এবং শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে সমঝোতা করেন। পরে তাঁর স্ত্রী নাজনীন নাহার ও দেড় বছরের মেয়ে রাইয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে সলঙ্গায় নিজ বাড়িতে চলে যান। পারিবারিক বিরোধের জেরে ৩০ মার্চ মনিরুল ইসলাম রঞ্জু তার মেয়েকে মাটিতে আছড়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় শিশু রাইয়া খাতুনের নানা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে সলঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর মনিরুল ইসলাম রঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে মনিরুল ইসলাম রঞ্জু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত শেষে মনিরুল ইসলাম রঞ্জুকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
মামলা চলাকালে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালতের বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
![](http://www.kholakagojbd.com/images/archive-image.jpg)