সিরাজগঞ্জে প্রস্তুত ৪ লাখ কোরবানীর পশু
এইচ এম আলমগীর কবির, সিরাজগঞ্জ
🕐 ৪:১৩ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২৩

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলায় কোরবানির জন্য খামারে মোটাতাজা করা হচ্ছে প্রায় ৪ লাখ গবাদি পশু। এর মধ্যে গরু রয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭১২টি এবং ছাগল ১ লাখ ৫৫ হাজার। এছাড়া বাকি পশুর মধ্যে রয়েছে মহিষ ও ভেড়া।
দফায় দফায় গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় সঠিক দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছে খামারিরা। আগের তুলনায় খামারিদের এখন প্রতিদিন গো-খাদ্যে খরচ বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ। ন্যায্য মূল্যে গরু বিক্রি করতে না পারলে খামারিদের লোকসান গুনতে হবে। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে কোরবানির পশুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বাড়তি লাভের আশায় খামারের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে পশুর বাড়তি যত্ন আর লালন পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও প্রান্তিক কৃষকেরা। জেলার চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন হাটের চাহিদা পূরণ করে এখানকার গবাদি পশু।
সিরাজগঞ্জ প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, ৯টি উপজেলায় প্রায় ১৭ হাজার ছোট বড় খামারি বিভিন্ন প্রজাতির গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা মোটাতাজা করছে। এসব খামারে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩৯৬টি গবাদিপশু মোটাতাজা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ষাঁড় ১ লাখ ৭১ হাজার ৭১২টি, মহিষ ১ হাজার ৪০৫টি, ছাগল ১ লাখ ৫৫ হাজার ও ভেড়া ৬১ হাজার ১৩৩টি। এ জেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা ১ লাখ ৬০ হাজার। এই চাহিদা মিটিয়ে ২ লাখ ২৬ হাজার ৩৯৬টি পশু সারাদেশে চলে যাবে। এসব পশু মোটাতাজাকরণে খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার যাতে ব্যবহার না করে এজন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে। এ বছর জেলায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার মোটাতাজা করা পশু ক্রয়-বিক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
