ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী
🕐 ৩:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২২

মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না: কাদের

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায়না। মুজিব কোট খুনি খন্দকার মোশতাক ও পরেছে।

তিনি বলেন, ৭৫ এর সেই বিশ্বাস ঘাতকরা। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। আমার বার্তা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা বঙ্গবন্ধুর কন্যার বার্তা। আওয়ামী লীগকে আরো ঐক্যবন্ধ আরো সংঘঠিত আরো সুশৃঙ্খল করতে হবে। নোয়াখালীর আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর দুর্গ ছিলো। এখন এটাকে শেখ হাসিনার শক্তিশালী দুর্গে পরিণত করতে হবে।

এসময় তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকেরই মৃত্যু দন্ড কার্যকর হয়ে গেছে। বিদেশে যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে একদিন তাদের যে দন্ড সে দন্ডও কার্যকর করা হবে ইনশাআল্লাহ।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মসহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে বলেন, ফখরুল সাহেবরা আজকে অপপ্রচার করছে। তারা ষড়যন্ত্র করবে আমরা কাজ করে যাবো। আমরা মানুষের পাশে থাকব।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালে চোখের পলকে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। খন্দকার মোশতাক পলাশীর মির্জাফর। পলাশীর সেনাপতি লতিফ আর বাংলাদেশের সেনাপতি জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকলে আরেকটি খুনি চক্র তাকে হত্যা করার দুঃসাহস পেত বলে আমি মনে করিনা। ইতিহাস বড়ই নির্মম। বাঁচতে পারেনি জেনারেল জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর দুকন্যা শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানা কে এতিম করেছে যে বুলেট। সে বুলেট বেগম খালেদা জিয়া কে বিধবা করেছে। বিশ্বাস ঘাতকতার পরিণতি ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা। ইতিহাস কোন স্বৈরাচারী প্রভুর রক্ত চক্ষু পরোয়া করেনা। ইতিহাসের আদালতের বিচারে কেউই রক্ষা পাবেনা।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, রাজনীতি একদিনের ব্যাপার নয়। এক বছর কয়েক বছরের ও ব্যাপার নয়। নোয়াখালীতে আমি আর বিভেদ দেখতে চাইনা। ক্ষমা করার উদারতা আমার আছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ এতো দিনেও স্বাধীন হতো কিনা সন্দেহ আছে। মহান আল্লাহ পাক বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে জন্ম দিয়ে ছিলেন। আর মুক্তির জন্য জন্ম দিয়েছেন শেখ হাসিনা কে। একজন স্বাধীনতার জন্য আরেক জন মুক্তির জন্য। আমাদের মুক্তির সংগ্রামের অসীম সাহসী কান্ডারী শেখ হাসিনা।

নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বাবুলের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম সেলিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন,শহীদুল্লাহ খাঁন সোহেল প্রমুখ।

 
Electronic Paper