স্বপ্নপূরণের গল্প
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ১২:৫৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
কাশ্মীরি তরুণী হেবা। ভূস্বর্গ জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের ওয়েডিং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে এক উদীয়মান নারী উদ্যোক্তা। শত সমস্যার বেড়াজালে স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে হাজারো তরুণীর অনুপ্রেরণা তিনি। মানুষের কটু কথা, সিভিল সার্ভিসের জন্য পড়াশোনা করার উপদেশ উপেক্ষা করে হাতের মুঠোয় বন্দি করেছেন স্বপ্নকে।
হেবা এগিয়ে যাওয়ার গল্প বলেছেন ভারতীয় গণমাধ্যমে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ওয়েডিং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রা শুরু হয় মূলত ইনস্টাগ্রামে। ‘মেকআপ অ্যান্ড সেø’ নামে তিনি ওয়েডিং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে পথচলা শুরু করেন। সেখানে তিনি প্রচুর প্রশংসা কুড়ান। বর্তমানে তিনি একই নাম দিয়ে সেটিকে বিয়ের ফ্যাশন স্টুডিওতে পরিণত করেছেন। একই নামে ফেসবুকেও তার একটি পেজ রয়েছে।
হেবা পেজটিকে ব্যবহার করেন নিজের স্টুডিওতে সাজানো নববধূর ছবি শেয়ার করে। একই সঙ্গে বধূকে সাজাতে ব্যবহৃত পণ্যগুলোর ছবিও শেয়ার করেন তিনি। কখনো কখনো পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে অনুপ্রেরণামূলক দু-একটি উক্তিও জুড়ে দেন সেসব পোস্টে। উদীয়মান এ নারী উদ্যোক্তা বলেন, আমি সবসময় মেকআপ এবং ওয়েডিং ফ্যাশনে আগ্রহী ছিলাম। যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার চাচাতো বোনদের ওপর সেটার চর্চা করতাম। শৈশবে আমি মুখ আঁকতাম এবং সেগুলো সাজাতাম। আমি জানতাম, আমি এটি করতে চাই। মেক-আপ আর্টিস্ট হওয়ার ধারণা সমাজের মূলধারায় প্রচলিত ছিল না। সমাজের রক্ষণশীলতার কারণে আমি সেটা চর্চা করতে দ্বিধান্বিত ছিলাম। তবে গত কয়েক বছরে এ শিল্পে অনেক তরুণ নারী উদ্যোক্তা যুক্ত হয়েছেন এবং আমি তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত।
স্বপ্নের পথে হাঁটা সহজ ছিল না বলে জানিয়েছেন হেবা।
তিনি জানান, তাকে অনেকেই বলতেন, এসব করে তিনি শুধু নিজের সময় নষ্ট করছেন। এটা কাজের ভালো ক্ষেত্র নয়। এখনো অনেকেই বলে, আমার এ ক্ষেত্রে থাকা উচিত নয়। অনেকেই আমাকে সিভিল সার্ভিসের জন্য পড়াশোনা করতে পরামর্শও দেন। কিন্তু আমি মনে করি, মেকআপের প্রতি দুর্বলতা আমার সব সময়ই থাকবে। কাশ্মীরে সুযোগ নেই। এমন ক্ষেত্র সম্পর্কে উৎসাহী অন্য নারীদেরও এগিয়ে আসা উচিত, এগিয়ে এলেই শুধু তারা বুঝতে পারবেন তাদের স্বপ্ন বাস্তব হতে পারে।
বিশাল স্বপ্ন রয়েছে জানিয়ে হেবা বলেন, আমি একজন ব্লগার হতে চাই এবং একটি সফল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে চাই। এ মুহূর্তে আমি এখনো প্রথম পর্যায়ে আছি। আমি বিশ্বাস করি আমার কাজ প্রশংসিত হবে। নারীদের উচিত তাদের সব প্রতিভা নিয়ে এগিয়ে আসা এবং লোকেরা কী বলবে সে সম্পর্কে ভয় না পাওয়া। মানুষ যা বলতে চায় তা বলবেই, তাই আমাদের উচিত যেটা আমাদের আনন্দিত করে তা-ই করা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
![](http://www.kholakagojbd.com/images/archive-image.jpg)