ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির কমিটি গঠন

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৪:০৩ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২৪

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির কমিটি গঠন

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে খুলনায় ২১ সদস্যের ত্রাণ সহায়তা কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি। এতে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনাকে আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমেলের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি জরুরি সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) থেকে ত্রাণ সহায়তা কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনা।

সভায় বিএনপি নেতারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। খুলনা অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলেই শাসকদলের কপাল খোলে, তাদের লুটপাটের কপাট খুলে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জন্য কাজ করে না; তারা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে। দাকোপ-বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা-কয়রার মানুষ ১৫ বছর ধরে ত্রাণ চান না। বরং তারা টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি করে আসছে কিন্তু সরকার বরাবরই জনগণের দাবি উপেক্ষা করে বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে লুটপাট করেছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার আগে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের খাবার না দেওয়ায় এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা না দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বক্তারা আরও বলেন, খুলনার উপকূলীয় দাকোপ, বটিয়াঘাটা, কয়রা, পাইকগাছা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, গবাদি পশুসহ অসংখ্য গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি এবং দুর্গত এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে অথচ সরকার ওইসব এলাকার মানুষের পাশে না দাঁড়ানোয় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সভা থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে সারাদেশে নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দুর্যোগ কবলিত মানুষ ব্যথা-বেদনা ও ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে নব উদ্যমে আবার সবকিছু গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য আরও উপস্থিত ছিলেন আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু, সাইফুর রহমান মিন্টু, মোল্লা খায়রূল ইসলাম, মো. রকিব মল্লিক, মোস্তফাউল বারী লাভলু, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শামীম কবীর, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক স্বজল, কেএম হুমায়ন কবির, মো. মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, শেখ ইমাম হোসেন, মোজাফফর হোসেন, চৌধুরী কাওসার আলী, জহর মীর, আফসার উদ্দিন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, খন্দকার ফারুক হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, সরদার আবদুল মালেক, মনির হাসান টিটু, রাহাত আলী খান লাচ্চু, যুবদলের কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, জাকির ইকবাল বাপ্পী, স্বেচ্ছাসেবক দলের মুনতাসির আল মামুন, কৃষক দলের মোল্লা কবির হোসেন, আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, এম এ জলিল. মো. রবিউল ইসলাম, মহিলা দলের রেহানা ইসলাম, শাহানাজ সরোয়ার, কানিজ ফাতেমা, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, মাসুম বিল্লাহ, সৈয়দ ইমরান, ওয়ার্ড বিএনপির মাসুদ খান, জাহিদুর রহমান রিপন, আসাদুজ্জামান লিটন.আব্দুস সালাম, মো. শফিকুর রহমান, গাজী শহিদুল ইসলাম, শেখ ফারুক হোসেন, খাইরুল ইসলাম হিরু ও আরিফ মোল্লা প্রমুখ।

 
Electronic Paper