ময়লা পানিতে রাস্তা সয়লাব, যানজটে নাকাল জামালপুরবাসী
মিঠু আহমেদ, জামালপুর
🕐 ১:১৯ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২৩

জামালপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র ব্যস্ততম গেইটপাড় এলাকায় নির্মানাধীন রেলওয়ে ওভারপাসের নিচে প্রধান সড়কের এক পাশে দীর্ঘদিন ধরে জমে আছে দূষিত ময়লা পানি।
প্রধান সড়কের আশপাশের বাসা-বাড়ি, হোটেল, গেস্টহাউজসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত পানি সড়কের উপর দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকলেও সেদিকে নজর নেই কারোই। দূষিত এসব ময়লা পানির র্দুগন্ধে আশপাশে টেকাই দায়। জমে থাকা নোংরা পানির কারনে ব্যস্ত সড়কের এক পাশ বন্ধ হয়ে থাকায় প্রতিনিয়ত এখানে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। গত কয়েক মাস ধরে সড়কের এক পাশ দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন সামাল দিতে রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে এখানে দায়িত্বর ট্রাফিক পুলিশদেরকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আব্দুল আলীম, আমিনুল ইসলাম, তারা মিয়া, চুন্নু মিয়া ও দুদু শেখ বলেন, রাস্তায় জমে থাকা নোংরা পানির র্দুগন্ধে দোকানে বসে থাকা যায় না। অনেক দিন থেকেই এই নোংরা পানি সড়কের একপাশে জমে আছে। দূষিত পানির রঙ কালো আকার ধারন করেছে। আবার পথচারীরা এই পানির উপর ময়লা আবর্জনা ফেলে সড়কটিকে ডাস্টবিনে পরিনত করেছে। সড়কে জমে থাকা পানির অংশে বিশাল গর্তেরও সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে সড়কের একপাশ বন্ধ। অন্যপাশ দিয়ে অনেক কষ্টে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে।
জামালপুর ট্রাফিক বিভাগের টিআই প্রশাসন ফকির সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা এটি। এর উপর এখানে পাশাপাশি দুইটি রেল লাইনও রয়েছে। দিনে রাতে এই রেল লাইন দিয়ে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ ও জামালপুর-তারাকান্দি রুটে অনেক ট্রেন চলাচল করে থাকে। ট্রেন আসলে গেইট ব্যারিয়ার ফেলে কিছুসময় যানবাহন আটকিয়ে রাখলে এখানে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। সড়কের একপাশ বন্ধ থাকায় এই যানযট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সড়কের বন্ধ থাকা অংশটি সংস্কার করে তা দ্রুত খুলে দেয়ার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
জামালপুর পৌরসভার ১নং প্যানেল মেয়র ফজলুল হক আকন্দ বলেন, সড়কে জমে থাকা পানির ব্যাপারে আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি। খুব শীঘ্রই সড়কটি সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন।
জামালপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পংকজ ভৌমিক বলেন, এখানে সড়ক প্রশস্ত করায় সড়কের নিচে থাকা পৌরসভার পুরাতন পানির লাইনটি যানবাহনের চাপে বারবার ফেঁটে যাচ্ছে। পৌরসভার নতুন পানির লাইনের পাইপ বসানোর কাজ চলছে। নতুন লাইন চালু করার পর পুরাতন পানির লাইনটি বন্ধ করে রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। এ জন্য কিছুটা সময় লাগবে বলেও তিনি জানান।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
