ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

স্বপ্নবাজ তরুণ অমিত

তিতলি দাস
🕐 ২:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২২

স্বপ্নবাজ তরুণ অমিত

গতানুগতিক পড়াশোনায় যখন মানুষ তার স্বপ্ন দেখা শুরু করে নিজেকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার তখন তিনি তার পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে ফেলেন। দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নকে ছোঁয়ার আসায় পরিবার, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সকলের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুরু করেন নিজের স্টাট আপ। কথা গুলো বলছিলাম ২০ বছর বয়সে শুরু করা বাংলাদেশে বাসা ভাড়ার সবচেয়ে বৃহত্তর অনলাইন ওয়েবসাইট দ্যা টুলেটের ফাউন্ডার এবং সিইও অমিত ঘোষের কথা।

জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার মুক্তার পাড়ায় অমিতের বেড়ে উঠা। মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবা অঞ্জন ঘোষকে হারিয়ে একমাত্র সন্তান হিসেবে বড় হয়ে উঠেন মা ধৃতি রানী ঘোষের হাত ধরে। খোলা কাগজের সাথে অমিত ঘোষ অন্তুর এক আলাপচারিতায় উঠে আসে তার ওয়েবসাইট তৈরির গল্প।

কবে থেকে ওয়েবসাইট তৈরির চিন্তা মাথায় আসে এমন প্রশ্নের জবাবে অমিত ঘোষ বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে আমি ফেসবুক ব্যবহার করি। তখন থেকেই ওয়েবসাইট তৈরির স্বপ্ন মাথায় জেঁকে বসে। এরপর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পড়তে হয় নানা জটিলতায়। আসে বাধা-বিপত্তি। অতঃপর সব বাধা পেরিয়ে ২০১৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষার পর পরিবারের দ্বিমতের মুখে ঢাকা শহরে পাড়ি জমাই। পরে সব চিন্তা বাদ দিয়ে কোডিং শিখতে বিদেশী প্রফেশনাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে সফল ভাবে ওয়েবসাইট তৈরির কোর্স সম্পন্ন করি, বলছেন এই তরুণ।

স্বপ্নবাজ তরুণ অমিত বলেন, ২০১৬ সাল থেকেই দ্যা টুলেট ফ্যামিলি-বাসা, ব্যাচেলর-বাসা, অফিস, হোস্টেল, সাবলেট, মেস অর্থাৎ ভাড়া সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধানের একটি অনলাইন ভিত্তিক প্রচেষ্টা। যেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের একটি অংশ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এটি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কম পরিশ্রমে খুব সহজেই বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়া পাবে। এছাড়াও আ্যপের মাধ্যমে ব্যবহার করতে ‘দ্যা টুলেট’ অ্যাপ্লিকেশনটি গুগল প্লে-স্টোর থেকে খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবে।

নামকরণ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, শুধু মাত্র ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সমস্যা সমাধানে কাজ করার উদ্দেশ্যে ‘দ্যা টুলেট’ প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন একটি নাম দিয়ে মানুষের জটিলতাকে বৃদ্ধি করতে না চাওয়ায় দ্যা ‘টুলেট’ নামটি রাখা হয়েছে।

অমিত জানিয়েছে, ছয় বছরে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ওয়েবসাইট দেখেছে ৩ কোটি বারের বেশি। দ্যা টুলেটের ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রায় ২ লাখের বেশি। আর প্রতিনিয়ত এর সংখ্যা বেড়েই চলছে। অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করছেন প্রায় দশ হাজার মানুষ। এখন অ্যাপটিকে অ্যাপল ষ্টোরে বের করার প্রস্তুতি চলছে।

 
Electronic Paper