আমেরিকার ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেলেন মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থী
ইশতিয়াক আহমেদ, মাভাবিপ্রবি
🕐 ৭:১২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
![আমেরিকার ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেলেন মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থী](http://www.kholakagojbd.com/media/upload/2023/10/1701675974444.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদা খাতুন চৈতী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদা খাতুন চৈতী আমেরিকার উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ক্যাম্পাসে ক্যান্সার গবেষণার জন্য নিয়োগ পেয়েছেন।
উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিন এবং পাবলিক হেলথ এর অধীনে অনকোলজি বিভাগের ম্যাকআর্ডল গবেষণাগারে তিনি মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার নিয়ে একজন গবেষণা সহকারী হিসেবে গবেষণা করবেন ।প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষ করে মাহমুদা খাতুন সেখানে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পাবেন বলেও জানা যায়।
মাহমুদা চৈতী মাহমুদা খাতুনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের দত্তবাড়ী গ্রামে। তিনি সালেহা ইসহাক সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি , মাভাবিপ্রবির বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকে তৃতীয় ও স্নাতকোত্তরে প্রথমস্থান দখল করে সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি জাপানের দি উইহারা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ পেয়ে সিমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধিনে স্নাতকোত্তর করার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কাঠামোগত প্রোটিনের গঠনকে কেন্দ্র করে কিভাবে করোনা ভাইরাসের ঔষধ তৈরি করা যায় সেটা নিয়ে গবেষণা করেছেন। সম্প্রতি তিনি আমেরিকার ম্যাকআর্ডল গবেষণাগারে ক্যান্সার নিয়ে গবেষণার জন্য সহকারী গবেষক হিসেবে নিয়োগ পেলেন।
গবেষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাভাপ্রবি থেকে যুক্তরাষ্ট্র,এই পথে আমার কঠোর পরিশ্রম ও নিজের উপরে বিশ্বাস ছিলো মুল চাবিকাঠি। বড় হবার স্বপ্ন দেখতাম সবসময়। ছোটো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কিছুই করতে পারব না এইসব কথা শুনতাম সবসময়, কিন্তু যখন শিক্ষকেরা বাহিরের দেশের গল্প করত হারিয়ে যেতাম সেই স্বপ্নের মাঝে। নিজেকে ছোটো না ভেবে আমাকে দিয়েই সব হবে এই বিশ্বাস নিয়ে তৃতীয় বর্ষে নিজ বিভাগের অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম স্যারের হাত ধরে শুরু করি আমার গবেষণা। সাথে জাপানের বিভিন্ন গবেষণা মুলক সম্মেলনে নিজের গবেষণা উপস্থাপন করি যা পরবর্তীতে আমার আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। খুবই ভালো লাগছে আমার এই প্রাপ্তিতে। যাদের কথা না বললেই নয়, আমার পাশে থেকে সবসময় আমাকে সাহস জুগিয়েছে আমার স্বামী মো: শরীফুল ইসলাম, আমার বড় মামা, আমার ভাইয়া। আমার মায়ের আর আমার শশুর বাড়ির সবার সাপোর্ট ছিলো অনেক বেশি।আমি কৃতজ্ঞ আমার ফ্যামিলির ,আমার সকল শিক্ষকগনের প্রতি, যাদের শিক্ষা আর দেখানো স্বপ্ন দেখে আজ আমি এইখানে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার জাপানিজ সুপারভাইজারদের প্রতি যারা এতোটুকু কৃপনতা করেনি আমার রিকমেন্ডেশন লেটারে।
সবশেষে এইটাই বলতে চাই- ‘স্বপ্ন দেখো তুমি তোমার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে, নিজেকে ছোটো না ভেবে এগিয়ে যাও, সাফল্য আসবেই।’
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
![](http://www.kholakagojbd.com/images/archive-image.jpg)