শেকৃবিতে আবাসিক হলের ছাদ খসে পড়ে আহত ১
শেকৃবি প্রতিনিধি
🕐 ৮:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২৩

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) আবাসিক হলের ছাদ খসে একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার (২২ মার্চ) শেরেবাংলা হলের এ ব্লকের ৩০২ নাম্বার কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় শেরেবাংলা হলের এ ব্লকের ৩০১,৩০২,৩০৩,৩০৫ সহ আরো বেশ কয়েকটি কক্ষের ছাদ ধীরে ধীরে খসে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি এতে তীব্র নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা স্বীকার করে শেরেবাংলা হলের প্রভোস্ট ড. জুবায়ের আল মাহমুদ বলেন, হলের ভবনটি প্রায় ৮০ বছর পুরোনো। এত পুরোনো ভবন সংস্কারের অযোগ্য। ভবনটি এখন পুরোপুরিভাবে অনিরাপদ। ঘটনার জানার পরপরই আমি এবং আমার সহকারী প্রভোস্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। আমার মনে হয় সাময়িকভাবে ছাত্রদের বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করা উচিত। আমি কালকেই ভিসি স্যারকে বিষয়টি জানাবো।
এদিকে ঘটনার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের কোনো প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেননি। হলের প্রভোস্ট ড. জুবায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগে বারবার ফোন দেওয়ার পর সেখান থেকে একজন ‘রাজমিস্ত্রী’ কে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পাঠানো হয়। এতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পরে ছাত্রদের মাঝে। ছাত্রদের ক্ষোভের মুখে পরবর্তীতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী যতন চাকমা।
ক্ষতিগ্রস্ত রুমগুলো সংস্কারযোগ্য কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে যতন চাকমা বলেন, সবকিছুই সংস্কার করা যাবে কিন্তু তা টেকসই হবে না। এই ছাদগুলো রিপেয়ার করলে ৬ মাসের মাঝেই আবার খসে পড়বে। আসলে বিল্ডিংটি এত পুরোনো যে এখানে রিপেয়ার করেও কোন লাভ নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেরেবাংলা হলের এক আবাসিক ছাত্র বলেন, আমাদের হলের তিনতলার রুমগুলোর ছাদের অবস্থা খুবই খারাপ। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। কিছুদিন পরপরই ছাদের অংশ খসে পড়ে। প্রশাসন কোটি কোটি টাকা খরচ করে নতুন হল নির্মাণ করলো যার অর্ধেকটা খালি। তবুও আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই হলেই থাকতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. মোমেনুল আহসানকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
