ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ওয়ারিশ সম্পত্তি চাইতে গিয়ে নাজেহাল সমলা ও তার পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১:৪২ পূর্বাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৪

ওয়ারিশ সম্পত্তি চাইতে গিয়ে নাজেহাল সমলা ও তার পরিবার

‘মেয়েরা সম্পত্তি পাবে’- এটি মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি দেশে এখনো পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত নয়। মুসলিম আইন অনুযায়ী সম্পত্তি পেতে এখনো অনেকেইে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তেমনই একজন ভোক্তভোগী হলেন সমলা খাতুন। তিনি রাজধানীর দক্ষিণখানের বাসিন্দা। মায়ের ওয়ারিশ সম্পত্তি চাইতে গিয়ে নাজেহাল বলে জানিয়েছেন এই ভোক্তভোগী।

 

 

তিনি জানান, মায়ের সম্পত্তি চাইতে গিয়ে পরিবারের সবার এখন নাজেহাল অবস্থা। সম্পত্তি চাইতে গিয়ে ভাইয়ের লেলিয়ে দেওয়া কিছু অপসাংবাদিকের কবলে পড়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি। বেসরকারি একটি টিভি চ্যালেনে তিনি এবং তার ছেলেসহ আত্মীয়স্বজনকে চাঁদাবাজ ও দখলদার উল্লেখ করে সংবাদ প্রচারের নিন্দা জানাতে উত্তরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন ভোক্তভোগী এই নারী তার স্বজনেরা। গতকাল অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সমলা খাতুন বলেন, বাবার সম্পত্তি পাই না, এটাই সংবাদ হওয়ার কথা থাকলেও সম্পত্তি চাইতে গিয়ে আমরাই আজ চাঁদাবাজ ও দখলবাজ হয়ে গেলাম।

এমনটা হওয়ার কথা ছিলো না জানিয়ে সমলা খাতুন বলেন, আমার মা মোসাঃ সখিনা খাতুন তাহার পিতা ছমিরউদ্দিন মাতবরের নিকট হতে ৩৯৩, দক্ষিণ ফায়দাবাদ, দক্ষিণখান, ঢাকা ঠিকানায় সম্পত্তি পান। বিগত ০৭/০১/১৯৯৯ তারিখে তিনি ইন্তেকাল করেন। আমার মায়ের ওয়ারিশ হিসাবে আমার বাবা মোঃ রফিজউদ্দিন, আমার ভাই মোঃ সেলিম মিয়া ও আমি সলমা খাতুন উক্ত জমির ওয়ারিশ। আমার ভাইয়ের নিকট আমার প্রাপ্য অংশ দাবি করলে তিনি দিব-দিচ্ছি করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।

তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে নিতান্তই বাধ্য হয়ে বিষয়টি স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের নিকট জানালে গত ১২/০৬/২০২৩ তারিখে স্থানীয়ভাবে কাউন্সিলর অফিসে সালিশ বৈঠক হয়। সালিশগণ মাপঝোপ করে আমার প্রাপ্য অংশ নির্ধারণ করে দেন। এরপর আমার ভাই আমার অংশে অন্যায়ভাবে স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে গত ০৪/০৯/২০২৩ তারিখে আবারও আশেপাশের লোকজনকে জানাই। তখন আমার ভাই আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি সম্পত্তি চাইতে এলে আমার স্বামী, দুই ছেলে, মেয়ের জামাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এসব হুমকির বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান সমলা খাতুন।

 
Electronic Paper