আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন উপজেলার চরকামালপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. সাফি উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার বিকাল ৩টার দিকে একই গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে সবুজ মিয়া ও আবুল হাসান ওরুফে বাচ্চু, মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে হাবিবুল্লাহ্, মৃত আরশ মিয়ার ছেলে মুর্ছালিন মিয়া, বাবুল মিয়ার ছেলে ওবায়েদুল্লাহ ও আবুল হাসান ওরুফে বাচ্চু মিয়ার মেয়ে মোছা. জোনাকি বেগমসহ প্রায় ১৫-২০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে পাকা ধানের জমিতে প্রবেশ করে জোর পূর্বক ধান কাটতে থাকে। এ সময় বাধা নিষেধ দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন সাফি উদ্দিনের ওপর হামলা করে মারধর করে। সাফি উদ্দিনকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় মানিক মিয়া, শাহীন শা আলম ও আইনুন নাহার গুরুতর রক্তাক্ত আহত হয়।

পরে তাদের ডাক চিৎকারের এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। আহত মানিক মিয়া ও শাহীন শা আলমের অবস্থা গুরুতর দেখে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে চিকিৎসক তাদের আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন।

এ ঘটনায় আহত মো. সাফি উদ্দিন বাদী হয়ে সবুজ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ওইদিন কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

এদিকে, হামলা ও মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত সবুজ মিয়া বলেন, তারা তাদের জমি থেকে ধান কাটতে গেলে সাফি উদ্দিন লোকজন নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় তিনি নিজেসহ তার পক্ষের আবুল হাসান বাচ্চু ও জোনাকি বেগমসহ ৪ জন আহত হয়। তিনি নিজেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। জোনাকি ও আবুল হাসান বাচ্চুকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হলে তাদেরকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা জানিয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।