ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৮:০৩ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২৪
![ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত](http://www.kholakagojbd.com/media/main/2025/01/112_8.jpg)
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়া`র কয়েকটি ইউনিয়ন। রোববার দুপুরের পর থেকে নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় নিন্মাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়। এতে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। রাতের জোয়ারে পানি আরো বেশী হবার আশঙ্কায় এসব অঞ্চলের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুর দুইটার পর থেকে হাতিয়া‘র নিঝুম দ্বীপ, সুখচর ইউনিয়নের ডালচর, হরণি ইউনিয়নের চর ঘাসিয়া ও বয়ারচর গ্রামে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট পানি বেড়ে যায়। এতে এসব এলাকার দোকান ও বসতিগুলো অনেকটাই ডুবে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ ও গবাদি পশু। চুলা ভিজে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে রান্নাবান্না।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি রাতে আঘাত হানার খবরে উপকূলবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাস হওয়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেক্ষেত্রে মানুষের জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি এড়াতে কাজ করছে হাতিয়া উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, সিপিপিসহ স্বেচ্ছাসেবীরা। বেড়ীর বাহিরে এবং নিম্ন এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য জোরালোভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগ বেশী হওয়ায় হাতিয়া‘র সাথে সকল ধরনের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে করে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঘাটে অবস্থানরত শত শত যাত্রীদের। তবে দিনের জোয়ারে বড় ধরণের খবর পাওয়া যায়নি। রাতের জোয়ারে ক্ষয়-ক্ষতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চরঘাসিয়া জনতা বাজারের পল্লী চিকিৎসক ফারুক উদ্দিন জানান, বাজারের মাঠ ৩-৪ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। রাতের জোয়ারে দোকানঘরে পানি ওঠার আশঙ্কা আছে। এ ছাড়া চরে বিস্তীর্ণ এলাকা ৪-৫ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষ জরুরী প্রয়োজনে হাটবাজারে আসতে পারছে না। ফলে সবাই গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে।
নলচিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ জানান, রেমালের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ার হওয়ায় তলিয়ে গেছে ৯নং ওয়ার্ডের তুপানিয়া গ্রামের বেশিরভাগ অংশ। বেড়িবাঁধের বাইরে হওয়ায় সহজে জোয়ারে পানিতে তলিয়ে যায় এই গ্রামটি। নলচিরা ঘাট এলাকার অনেক দোকান ঘরে পানি ডুকে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা মালামাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন জানান, বেড়ীবাঁধ না থাকায় নিঝুম দ্বীপের সব কটি গ্রাম সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়কের উপরে দুই ফুট উচ্চতায় পানি প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে মানুষের পুকুরের মাছ। অনেক জায়গায় মানুষের বসত ঘরেও পানি ঢুকে গেছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিঝুমদ্বীপের বাড়িঘর গুলো বেশি পানিতে ডুবে গেছে। তাদেরকে স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আশপাশের দোতলা ভবনগুলোতেও তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
![](http://www.kholakagojbd.com/images/archive-image.jpg)