ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

লক্ষ্মীপুরের চার আসনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৩৩ জন

মু.ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, লক্ষ্মীপুর
🕐 ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২৩

লক্ষ্মীপুরের চার আসনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৩৩ জন

লক্ষ্মীপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি হতে দলীয় মনোয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা। এতে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের হেভিওয়েট নেতারাও রয়েছেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তারা গত এক বছর ধরে এলাকায় প্রচার-প্রচারণাসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে ১০ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম, রামগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিক মাহমুদ পিন্টু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক এমএ মমিন পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহীদ উল্যাহ, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামছুল হক মিজান, সাবেক কর কমিশনার সুলতান মাহমুদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ব্যারিস্টার তৌহিদুল ইসলাম বাহার।

লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসন থেকে ছয়জন আওয়ামী লীগের মনোয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, ‘আমরা ক’জন মুজিব সেনা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এএফ জসিম উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. এহসানুল কবীর জগলুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য নেওয়াজ শরীফ ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম।

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে ১০ জন আওয়ামী লীগের মনোয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের এমএ সাত্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এমএ হাসেম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য খোকন চন্দ্র পাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নুরুল হুদা পাটওয়ারী, প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালের স্ত্রী ফেরদৌসী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য শওকত হায়াত, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইনুল আহমেদ তানভীর।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসন থেকে সাতজন আওয়ামী লীগের মনোয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, ঢাকা উত্তর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাসবীরুল হক অনু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইস্কান্দার মির্জা শামীম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আব্দুজ্জাহের সাজু ও আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ উদ্দিন। এর মধ্যে ফরিদুন্নাহার লাইলী আসনটির সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য।

স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে লক্ষ্মীপুর ১, ২ ও ৩ আসনে আ.লীগের বর্তমান সংসদ সদস্যরাই মনোনয়ন পাবেন। লক্ষ্মীপুর-৪ জোটের কারণে বিকল্পধারাকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে।

এদিকে বিভক্ত জাপাও চাচ্ছে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই আসন ধরে রাখতে তবে, গত সংসদ নির্বাচনে সাবেক এমপি মোহাম্মদ নোমান এর এক চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘটনায় আ.লীগ নেতা-কর্মীদের কাছে বিরক্তের নাম জাতীয় পার্টি। এছাড়াও বিভিন্ন নির্বাচনে তাদের এজেন্ট দেয়ার সক্ষমতা নেই বলে জানান উপজেলা আ.লীগ সদস্য ও সাবেক যুবলীগ নেতা তারেক আজিজ জনি। তিনি বলেন, বিগত সংসদ নির্বাচনে নিজ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ নোমান নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাতেই জনগণ জাপার প্রার্থীদেরকে এখানে মেনে নেবে না।

সেই নির্বাচনে চিঠির সূত্রে জানা যায়- প্রত্যাহারপত্রে তিনি লিখেছেন, নিজ দল জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা, লক্ষ্য নির্ধারণে অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয় ও সিদ্ধান্তহীনতা এবং মহাজোটের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে নির্বাচনে বহাল থাকায় আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রত্যাহারপত্রে তিনি আরও লিখেন, কেন্দ্রীয় সহযোগিতা না পাওয়া ইত্যাদি কারণে আমি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

 
Electronic Paper