ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নাতির মরদেহ দেখে দাদীর মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩

নাতির মরদেহ দেখে দাদীর মৃত্যু

কুমিল্লার চান্দিনা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ১৪ দিন পর এক যুবকের লাশ ঢাকায় উদ্ধার করা হয়। ওই যুবকের নাম মো. ইকবাল হোসেন (৩১)। সে চান্দিনা উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নের পূর্ব অম্বরপুর গ্রামের মো. ফজর আলীর ছেলে। রাজধানীর লালবাগ থানা পুলিশ শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি অফিস সংলগ্ন এলাকার ফুটপাত থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে নিহতের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে। এসময় নিহতের বাড়িতে শোকের মাতম দেখা যায়। লাশ দেখতে এসে নিহত ওই যুবকের প্রতিবেশী দাদী মোমেনা খাতুন (৯০) হৃদযন্ত্রের ক্রীয়াবন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। মোমেনা ওই গ্রামের মৃত আবদুল মজিদ এর স্ত্রী। এইক বাড়িতে দুইটি লাশ ও তাদের স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে।

শনিবার রাত ৮টায় পূর্ব অম্বরপুর জামে মসজিদ মাঠে দুই জনের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।

লালবাগ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ মোহাম্মদ নতুন মিয়া জানান, শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা ফুটপাতে লাশ দেখে থানায় খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করি।

উদ্ধারের সময় ছেলেটির পরনে একটি শর্ট প্যান্ট ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে পাগল বলে অবহিত করে। পরে সিআইডি’র সহায়তায় ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে আমরা চান্দিনা থানায় ছবি ও পরিচয় প্রেরণ করে শনাক্ত করি।

তিনি আরও জানান, লালবাগ থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ এর ফরেন্সিক বিভাগে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে শনিবার তার পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়।

পূর্ব অম্বরপুর গ্রামেরবাসীন্দা ওয়ালী উল্লাহ্ বলেন- শনিবার দুপুরে ইকবালের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে। এলাকাবাসী লাশ দেখতে ভিড় করে। এর মধ্যে মোমেনা খাতুন নামের একজন বয়স্ক মহিলা তাৎক্ষণিক মারা যায়। হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন।

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, লালবাগ থানা থেকে খবর পেয়ে আমরা চান্দিনায় ছেলেটির গ্রামের বাড়িতে মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছে দিয়েছি। পরিবারের সদস্যরা তার লাশ নিয়ে গ্রামে এসেছে শুনেছি।

 
Electronic Paper