ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আদার বাজারে ফের অস্থিরতা, খুচরায় কেজি ৪৫০ টাকা

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ১২:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৩

আদার বাজারে ফের অস্থিরতা, খুচরায় কেজি ৪৫০ টাকা

আদার বাজার আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ৫০ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। পাশাপাশি সাত দিনে আরেক দফা দাম বেড়েছে পাম অয়েল, পেঁয়াজ, আলু ও হলুদের। এতে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) কাওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা জানান, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, যা সাত দিন আগে ৪০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি আমদানি করা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৮০, যা আগে ২৫০ টাকা ছিল। প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৪০, যা সপ্তাহখানেক আগে ১৩০ টাকা ছিল।

এছাড়া খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০, যা সাত দিন আগেও ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে মে মাসে আদার দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে একশ্রেণির অসাধু বিক্রেতা সিন্ডিকেট। সেসময় খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি আদা সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। সেসময় মসলার বাজারে অস্থিরতা কমাতে ২৮ মে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা করেন।

সভায় জানানো হয়, প্রতি কেজি আদার আমদানি মূল্য ১২৯-১৩০ টাকা। কিন্তু রাজধানীর সর্ববৃহৎ আড়ত শ্যামবাজারে ২৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। ওই সময়ে আদার দাম বাড়ানোর পেছনে শ্যামবাজারের আড়তদারদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিজেই অসাধুদের চিহ্নিত করেন। কিন্তু ওই সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নিত্যপণ্য কিনতে আসা জুবায়ের হাসান বলেন, কয়েকদিন পরপর আদার দাম বাড়ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বাজারে আদার কোনো সংকট নেই। পাশাপাশি পেঁয়াজের দাম আবার হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে। আগে বাজারে তদারকি সংস্থার উপস্থিতি দেখলেও এখন তা বেশি একটা লক্ষ করা যাচ্ছে না। এ সুযোগে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। আমাদের মতো ক্রেতাদের বাড়তি খরচের বোঝা বইতে হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রতিদিনই বাজারে পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যেসব পণ্যের দাম বেশি, সেসব পণ্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অধিদপ্তরে তলব করে সভা করা হচ্ছে। অনিয়ম পেলে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

 
Electronic Paper