‘মসলিন পুনরুদ্ধার ও উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার
মু. গোলাম কবীর হিমুল, বুটেক্স
🕐 ৮:১৭ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২৩
![‘মসলিন পুনরুদ্ধার ও উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার](http://www.kholakagojbd.com/media/upload/2023/05/10_13.jpg)
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য মসলিনের সুতা ও কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধার এবং এ খাতে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো: আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে সেমিনার শুরু হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব মির্জা আজম, জনাব লোকমান হোসেন মিয়া (নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ), জনাব মাসুদ বিন মোমেন (পররাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধারের কারিগর অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জান (উপাচার্য, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়), এম মনজুর হোসেন (অধ্যাপক, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), মো: আইয়ুব আলী (প্রধান পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন এবং সদস্য, মসলিন গবেষণা কমিটি)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মসলিন মূল্যায়ন কমিটির প্রধান ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো: আবুল কাশেম এবং বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল।
সেমিনারে মসলিন পুনরুদ্ধারের কারিগর এম মনজুর হোসেন মসলিন পুনরুদ্ধারের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং বলেন এই পথচলা মোটেই সহজ ছিল না। অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জান বলেন, মসলিন পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পুরো কৃতিত্ব তারই প্রাপ্য। আমরা শুধুমাত্র তার সৈনিক হিসেবে কাজ করে গেছি এবং কাংখিত লক্ষে পৌঁছাতে পেরেছি। আশা করছি আমরা খুব দ্রুতই মসলিনের বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করতে পারবো।
বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল বলেন, মসলিনের পুনরুদ্ধার আমাদের জন্য সত্যিই গর্বের বিষয়। আমি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরেছি সবাই মসলিনের প্রশংসা করে।কেউ যেন মসলিন বলে অন্য কোন কাপড় চালিয়ে দিতে না পারে আমাদের এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মসলিন মূল্যায়ন কমিটির প্রধান ও বুটেক্সের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো: আবুল কাশেম বলেন, মূল্যায়ন কমিটির প্রধান হিসেবে কাজটি মোটেও সহজ ছিল না। এজন্য আমাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কাপাসিয়াসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে হয়েছে। একটি মসলিন শাড়ী বুনতে প্রায় পাঁচ-ছয় মাস সময় লেগে যায়, যার জন্য মসলিনের মূল্য এত বেশি। তবে উচ্চমূল্য হওয়া সত্ত্বেও আমরা আশা করছি চাহিদা অনুযায়ী মসলিন শাড়ী সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. শামসুল আলম বলেন, মসলিনের আরোও ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে এবং বাহারী ডিজাইনের কাপড় তৈরী করতে গুরুত্ব আরোপ করেন। তাছাড়া মসলিনের মূল্য অনেক বেশী যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। মসলিনের বাণিজ্যিক মূল্য কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করার আহবান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার আহবানে ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টায় ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার নতুন সংযোজন। মসলিনের মূল্যমান কমানো এবং ব্যবহারযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করছি। ব্যক্তিমালিকানায় বাণিজ্যিকীকরণ করা তুলনামূলক সহজ হবে।জনগণের দোরগোড়ায় মসলিন পৌঁছাতে পারলে তবেই গবেষকদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
![](http://www.kholakagojbd.com/images/archive-image.jpg)