সোমবার, ৯ জুন ২০২৫,
২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
বাংলা English

সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম: ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে সাক্ষাৎ করতে চান টিউলিপ সিদ্দিক      ঈদ ফিরতি যাত্রায় মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের      ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কুরবানি      ‘প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে রাজনৈতিক দল ও জনগনের দাবি উপেক্ষিত হয়েছে’      ঈদের দিন কুরবানি করতে গিয়ে আহত দুই শতাধিক      যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ      পরপর তিন বার মানুষ ভোট দেয়ার সুযোগ পায়নি: ডা. শফিকুর রহমান      
জাতীয়
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ
খোলা কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ১০:২৯ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। এদিন ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) একটি ভাষণে নড়ে ওঠে পাকিস্তানি সামরিক শাসকের একনায়কত্বের ভিত। অনিবার্য হয়ে উঠে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির বহু প্রতীক্ষিত ও কাঙ্খিত স্বাধীনতা।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ শেখ মুজিব যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, তা ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি। ঢাকার রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সেদিন তাঁর এ ঘোষণার পর স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রাম ত্বরান্বিত হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি।

৭ মার্চ বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে ওঠেন। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। দরাজ কণ্ঠে তাঁর ভাষণ শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি...।’ এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে তিনি ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। ভাষণে বঙ্গবন্ধু সামরিক আইন প্রত্যাহার, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানে হত্যাযজ্ঞ তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই, আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছু অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’

বঙ্গবন্ধু সেদিন সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলেও এটি ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের গ্রিন সিগন্যাল। এই ভাষণে ছাত্র-জনতা স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসজুড়ে ভাষণটি ছিল লড়াকু মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পথনির্দেশ।

এই ভাষণের সর্বশেষ দুটি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিকনির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা’। 

কেকে/এআর
আরও সংবাদ   বিষয়:  শেখ মুজিব   ৭ মার্চ   ঐতিহাসিক ভাষণ  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

বাঞ্ছারামপুরে নদী ভাঙ্গন রোধে মানববন্ধন
আ.লীগের আমলে দেশের মানুষকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে : ডা. শফিকুর রহমান
তুচ্ছ ঘটনার জেরে কিশোরকে কুপিয়ে জখম, থানায় অভিযোগ
আবারো করোনায় আক্রান্ত নেইমার
কুরবানির মাংস নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছোট দুই ভাইয়ের হাতে প্রাণ গেল বড় ভাইয়ের

সর্বাধিক পঠিত

ঈদ করা হলো না বউ-শাশুড়ীর, ফেরীতে উঠতে গিয়ে মারা গেলেন দুজনেই
বাঞ্ছারামপুরে কুরবানি মাংস বেচাকেনার হাট
ফুলবাড়িতে গাঁজাসহ আটক ২
মৌলভীবাজারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ ৪ জনের মৃত্যু
১৭ বছর পর নিজ বাড়িতে ঈদ করবেন বাবর

জাতীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close