সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: হামাস-ইসরায়েল বন্দি বিনিময় শুরু, প্রথম দফায় ৭ জিম্মি হস্তান্তর      ভারী বর্ষণ-বন্যায় মেক্সিকোতে নিহত ৪৪, নিখোঁজ ২৭      ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      
দেশজুড়ে
কিশোরগঞ্জে টেকসই ঝুঁকিতে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ
হারিছ আহমেদ, কিশোরগঞ্জ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ৮:৪৮ পিএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

নদীমাতৃক বাংলাদেশের মোট আয়তনের ছয় ভাগের এক ভাগ জুড়ে রয়েছে হাওর-জলাভূমি। হাওরভূমি বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাওর এলাকার প্রায় ৬৭ শতাংশ জনগণ সরাসরি কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রতি বছরে অকাল বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে হাওরে ব্যাপক ফসলহানি ঘটে।

হাওরের ফসল রক্ষার্থে পূর্বে স্থানীয় জনগণ সম্মিলিতভাবে বাঁধের ব্যবস্থা করলে স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ সরকারের ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়’- এর উদ্যোগে বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম চালু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সরকারি উদ্যোগে হাওর এলাকাগুলোতে ডুবো বাঁধ (সাবমারজিবল এ্যামব্যাঙ্কমেন্ট) নির্মাণ করা হয়। এই বাঁধ দেওয়ার  প্রধান উদ্দেশ্যে হচ্ছে হাওরের ফসল রক্ষার পাশাপাশি হাওরের জীব, পরিবেশ ও প্রতিবেশকে রক্ষা করে। কিন্তু কিশোরগঞ্জের হাওরে ঘটেছে এর উল্টো। ফসল রক্ষার বাঁধ নিজেই পড়েছে ঝুকিঁতে।

সরেজমিনে ইটনা উপজেলার কুনিয়ার হাওর, জিওলের হাওরসহ আরও কয়েকটি হাওর ঘুরে দেখা যায়, বাঁধ নির্মাণের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দায়সারাভাবে মেরামতে ব্যস্ত পিইসির সভাপতিরা। বাঁধগুলোর পাশ থেকে গর্ত করে কাটা হচ্ছে মাটি। আবার অনেক স্থানে নদী থেকে ভেকু মেশিনের মাধ্যমে কাদামাটি তুলে ফেলা হচ্ছে বাঁধে। যার ফলে কাজ সমাপ্ত হওয়ার পূর্বেই বাঁধের গোড়া থেকে মাটি ধসে পড়ার দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। অথচ নিয়ম অনুযায়ী দূর থেকে ড্রাম ট্রাকে মাটি এনে বাঁধ মেরামতের কথা। কিন্তু জিওলের হাওরে একটি প্রকল্প ছাড়া কোথাও এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। এতে করে শঙ্কা কাটছে না কৃষকদের ।

স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, টেকসই বাঁধ না হলে ঝুঁকিতে পড়তে পারে হাওরের বোরো ধান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নজরদারির অভাবে হাওরের গুরুত্বপূর্ণ ফসল রক্ষার বাঁধগুলো ঝুঁকিতে পড়েছে। এসব বাঁধ মজবুত না হলে বাঁধ করা আর না করা সমান। অযথা সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের কোনো প্রয়োজন নেই। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখনও কোনো বাঁধ সম্পন্ন হয়নি। এ অবস্থায় আসন্ন বোরো মৌসুমে ঝুঁকিতে পড়তে পারে হাওড়ের ফসল।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ৯টি উপজেলায় প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ  ১২৯টি ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ইটনায় ৪০টি।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাঁধ মেরামত কাজ সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। কোনো উপজেলায় কাজের ত্রুটি বিচ্যুতি পেলে ইতোমধ্যে সেগুলো ঠিক করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আর আপনারা যেগুলোতে ত্রুটি পাবেন আমাদেরকে জানাবেন। আমরা সেগুলো ঠিক করার ব্যবস্থা করবো।

জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, প্রতি বছরই আমরা বাঁধ নিয়ে এমন অভিযোগ পাই। এবার কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। অনিয়ম হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেকে/এজে
আরও সংবাদ   বিষয়:  কিশোরগঞ্জ   হাওর   ফসল রক্ষা বাঁধ  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ফ্যাসিস্ট নাসিমের প্রতারণার শিকার শতাধিক নারী
হামাস-ইসরায়েল বন্দি বিনিময় শুরু, প্রথম দফায় ৭ জিম্মি হস্তান্তর
বিশ্ব ব্যর্থতা দিবস আজ
সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
নালিতাবাড়ীতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে : তানভীর হুদা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
মৌলভীবাজারে জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি
নালিতাবাড়ীতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close