ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক এক নির্বাচন কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদকের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন—‘ভুয়া তথ্যে’ জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণকারী আবদুল জলিল, চট্টগ্রাম বন্দর থানার সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, আবদুল জলিল কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডীর বাসিন্দা দাবি করলেও তার কোনো জাতীয়তা সনদ, জন্মগ্রহণ ও বৈধ নাগরিকত্বের রেকর্ড পাওয়া যায়নি। এছাড়া তিনি দাবি করেছেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে তার বাবা-মা মারা গেছেন; তবে কোনো মৃত্যু সনদ নেই।
এজাহারে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমারের যোগসাজশে ২০১১ সালের ২২ জুলাই জন্মনিবন্ধন করা হয়। পরে ২০১৭ সালে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জন্মনিবন্ধন সহকারীর স্বাক্ষর জাল করে জন্মনিবন্ধন সংশোধন করা হয়।
নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি জাল জন্মসনদ দিয়ে আবদুল জলিলের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। এ কাজে আশরাফুল তার কার্যালয়ে ব্যবহৃত ল্যাপটপ ব্যবহার করেন এবং নির্বাচন কমিশনে কোনো রেকর্ডপত্র জমা দেননি।
এদিকে, জলিলের ভুয়া জন্মসনদে ঠিকানা হিসেবে কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডী থাকলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে লেখা হয় চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধন ফরমের ৪৬টি ঘর পূরণ করার নিয়ম থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ ঘর ফাঁকা রাখা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ পরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, “দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।”
কেকে/ আরআই