আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকার কেরানীগঞ্জে তাবলিগ জামায়াত বাংলাদেশের পাঁচ দিনের জোড়।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে শুরু হওয়া আখেরি মোনাজাতে লাখো মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামায়াতের বিশ্ব আমীর দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভি। এতে সারা দেশ থেকে আসা তাবলিগের সাথী ছাড়াও আশপাশ এলাকার হাজারো মুসল্লি অংশ নেন।
এর আগে ফজরের নামাজের পর হেদায়তি বয়ান পেশ করেন মুফতি ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভি এবং তরজমা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) থেকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের মিকাইল এলাকায় শুরু হওয়া এ জোড় চলে টানা পাঁচ দিন। এক বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে আশপাশের রাস্তাঘাট ও মাঠেও মুসল্লিদের ঢল নামে।
জোড়ে সারা দেশ থেকে তাবলিগ জামায়াতের তিন চিল্লার সাথী, সময় লাগানো উলামায়ে কেরাম ও মুরুব্বিরা অংশ নেন। এখান থেকে দেশ-বিদেশে ৪০ দিন ও ৪ মাস মেয়াদি জামাত দাওয়াতের কাজে পাঠানো হয়।
তাবলিগ জামায়াতের কেন্দ্রীয় বিশ্ব মারকাজ দিল্লির নিজামুদ্দিন থেকে আগত মুরুব্বিরাও জোড়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান দেন।
কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি ও ময়দান প্রস্তুতি কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার মহিবুল্লাহ বলেন, ‘পাঁচ দিনব্যাপী এই জোড় তাবলিগ জামায়াতের একটি ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনি সমাবেশ।’
তাবলিগ জামায়াতের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, এবারের জোড়ে ২০টি দেশের প্রায় ৬০০ বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন। তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় দাওয়াতি কাজে অংশ নেবেন। ময়দানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় লাখাধিক সাথী।
জোড় ময়দান পরিদর্শন শেষে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘লাখো মুসল্লির নিরাপত্তায় পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা একযোগে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদেশি মেহমানদের নিরাপত্তায়ও নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। আলহামদুলিল্লাহ অনুষ্ঠানে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।’
কেকে/এমএ