গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গাকৃবি) গত এক বছরের অর্জন, আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গাকৃবির পরিচালক (বহিরাঙ্গন কেন্দ্র) প্রফেসর ড. ফারহানা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজুর রহমান লিখিত বক্তব্য বলেন, ‘আগামী ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে “টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য পুনরুজ্জীবনশীল কৃষি” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি গবেষক, কৃষি বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক ও কৃষক প্রতিনিধিদের মিলনমেলা হবে। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য মাটির স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও জলবায়ু সহনশীল খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুনর্জীবনমুখী কৃষি চর্চার বিকাশ।’
এ সময় ভাইস-চ্যান্সেলর তার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরে গাকৃবি যে সাফল্য অর্জন তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি থরে রাখতে প্রশাসনিক ভবন চত্বরকে ‘৩৬ জুলাই চত্বর’ ঘোষণা, শহিদ পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতিমুক্ত রাখার ঐকমত্য পোষণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক স্বছতা ও আধুনিক শিক্ষার মডেলে রূপান্তরকরণ অন্যতম। ফলে, ২০২৬ সালের টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিংয়ে গাকৃবি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এছাড়া ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস ফর ইনোভেশন (উরি) ২০২৫-এ গাকৃবি দেশের মধ্যে প্রথম এবং বিশ্বে ৭৭তম স্থানে উঠে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সুগন্ধিযুক্ত দ্রুত ফলনশীল ধান ‘জিএইউ ধান-৩, উচ্চ লবণ সহিষ্ণু গম ‘জিএইউ গম-১ এবং জলজ ফসল শাপলা-১ ও শাপলা-২ উদ্ভাবন করেছেন। যা কৃষকের মুখে হাসি ফোটাবে এবং খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন ভরসা যোগাবে। গাকৃবি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে জাপান, কানাডা, চীন, বতসোয়ানা ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে একাধিক সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত এক বছরে ভেটেরিনারি টিচিং হসপিটালের মাধ্যমে গবাদি ও পোষা প্রাণির চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষণা, বৃক্ষরোপণ, টেকসই কৃষি প্রযুক্তি, পরিবেশ বান্ধব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও প্রকৃতি সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা পালন করছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। যা, সবুজ ও টেকসই বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
কেকে/এমএ