আফগানিস্তানে শক্তিশালী ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। খবর এএফপির।
সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোরে উত্তর আফগানিস্তানে এ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। কয়েক মাস আগে আঘাত হানা অপর একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও তীব্র কম্পনে কেঁপে উঠলো দেশটির উত্তরাঞ্চল।
ইউএসজিএস-এর তথ্য অনুসারে, স্থানীয় সময় সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোরের দিকে ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল) গভীরতার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে। ভূমিকম্পের পরের কয়েক ঘণ্টায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র কামাল খান জাদরান জানিয়েছেন, বালখ প্রদেশে চারজন নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রাদেশিক হাসপাতালে আহত ১২০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) মুখপাত্র মোহাম্মদুল্লাহ হামাদ বলেছেন, পার্শ্ববর্তী সামানগান প্রদেশে পাঁচজন নিহত এবং ১৪৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বেশিরভাগই চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানান তিনি।
ভূমিকম্পের সময় দেশটির বৃহত্তম উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরিফের বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘর ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় রাস্তায় ছুটে আসেন। এএফপির এক সংবাদদাতা জানিয়েছেন, রাজধানী কাবুলের প্রায় ৪২০ কিলোমিটার (২৬০ মাইল) দক্ষিণে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে।
অতীতে দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অবকাঠামো দেশটিতে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাধাগ্রস্ত করেছে। কর্তৃপক্ষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি কয়েক দিন ধরেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে দূরবর্তী গ্রামে পৌঁছাতে পারেনি।
২০২১ সালে তালেবান সরকার দেশটির ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনটি বড় ধরনের ভূমিকম্প দেশটিতে আঘাত হেনেছে। এমনকি দেশটির অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচিত বিদেশি সহায়তাও নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
গত আগস্টে দেশটির পূর্বাঞ্চলে ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প পাহাড়ি গ্রামগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেয় এবং দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
২০২৩ সালে ইরান সীমান্তের কাছে পশ্চিম হেরাত শহরে এবং ২০২২ সালে পূর্ব নাঙ্গারহার প্রদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্পে শত শত মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়।
কেকে/এআর