‘পটুয়াখালীর কলাপাড়া চৌকি আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ আদালত। এখানে সিভিল কোর্টে ৫ হাজার ৬০০ মামলা ও ম্যাজিস্ট্রেসিতে ২ হাজার ১০০ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এখানে রয়েছে সমুদ্র বন্দর, একাধিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আরও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যক্রম। তাই, অচিরেই এখানে যুগ্ম জেলা জজ আদালত স্থাপন করতে হবে।’
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে কলাপাড়া চৌকি আদালত বার ভবনে আইনজীবীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেবিএম হাসান আরও বলেন, ‘এ আদালতকে দেশের অন্য চোকি আদালতের সাথে তুলনা না করে বিশেষ নজর দিতে হবে। বন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালাতে গেলে এখানে যুগ্ম জেলা জজ আদালত প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।’
‘আইনজীবী ও বিচারক- একই পাখির দুইটি ডানা। বিচার প্রার্থী মানুষ ন্যায় বিচার পাবে এদের সমন্বয়ে।’
এর আগে জেবিএম হাসান কলাপাড়া চৌকি আদালত পরিদর্শন শেষে কলাপাড়া বার ভবনে এলে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ, কলাপাড়া চৌকি আদালত আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন।
পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আলম, পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ-১ পারভেজ আহমেদ, যুগ্ম জেলা জজ-২ বেলাল হোসেন, যুগ্ম জেলা জজ-৩ তরুণ বাছাড়, সহকারী জজ মতিউর রহমান, কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাব্বি ইসলাম রনি, সিনিয়র সহকারী জজ মহিদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এমএ