নারায়ণগঞ্জে উবার চালক নয়নকে হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী, পরকীয়া প্রেমিকসহ সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ। মূলত আর্থিক ও পরকীয়া প্রেমের কারণেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলে জানায় পুলিশ।
আটককৃতরা হলো নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা (৪০), তার দুই মেয়ে সুমনা (২০), সানজিদা (১৮), পরকিয়া প্রেমিক রাসেল ওরফে ঠোঙ্গা রাসেল (৪৫), চয়ন (৩৮), মানিক (৩২) ও জুয়েল (৩০)।
ফতুল্লার পিলকুনির যে স্থান থেকে নয়নের খন্ডিত পা উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে মানিককে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার উত্তর শিয়ারচর এলাকার একটি নির্জন স্থানে ড্রামের ভেতর থেকে দু পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অর্ধগলিত অবস্থায় নয়নের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ অল্প সময়ের মধ্যে তার পরিচয় শনাক্ত করে কয়েক ঘন্টার মধ্যে সন্দেহভাজনদের আটক করে।
নয়নের স্ত্রী সাবিনা ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাসেলের দেয়া তথ্য মতে, পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি জেনে ফেলায় তারা নয়নকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী জানায়, নিহত নয়ন মাদক মামলায় তিন বছর জেলে ছিল। তিনি পেশায় একজন প্রাইভেটকার চালক। পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ একাধিক মামলাও ছিল। নয়নের সঞ্চিত প্রায় তিন লাখ টাকা ছিল তার স্ত্রী সাবিনার কাছে। দশ বারোদিন আগে নয়ন জেল থেকে বের হয়ে স্ত্রীর কাছে সেই টাকা চায়। জেলে থাকায় তার মামলা চালাতে সেই টাকা খরচ হয়েছে বললে নয়ন সেটি বিশ্বাস করেনি।
এদিকে দীর্ঘদিন জেলে থাকায় সাবিনার সাথে রাসেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রাসেলও একজন মাদক ব্যাবসায়ী বলে জানায় পুলিশের এই কর্মকর্তা।
তিনি আরো জানান, গত ৫ অক্টোবর নয়নকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর একদিন মরদেহ বাসাতেই ছিল। পরেরদিন পা দুটো বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং দেহের উপরিভাগ ড্রামে ভরে শিয়ারচর এলাকার নির্জন স্থানে ফেলে রাখা হয়। বিচ্ছিন্ন করা পা দুটো পিলকুনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ফেলে রাখা হয়।
কেকে/এজে