মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইলিশের প্রজনন মৌসুমে বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। পরে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে তারা ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মেঘনা নদীর গজারিয়া উপজেলার নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার ভোর থেকে ১৪-১৫টি ড্রেজার নিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে উত্তোলনকারীরা সদর উপজেলার দিকে চলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন বলেন, ‘আমরা জানি ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা নিষেধ। আজ সকালে যখন দেখলাম সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইজারাদার বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করতে গিয়েছে তখন আমরা এলকাবাসী একজোট দিয়ে তাদের বাধা দিতে গিয়েছিলাম।’
বিষয়টি নিয়ে বালুমহালটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম জসিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুস সামাদ বলেন, ‘ইলিশের প্রজনন মৌসুমে বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। কারণ এই সময় বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করলে মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন ব্যাহত হয় যা সামগ্রিকভাবে মৎস্য সম্পদকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশে একটি বালুমহাল আছে। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সেটা যেন বন্ধ থাকে এ ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছি আমরা।’
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘এমন একটি খবর পাওয়ার পর আমি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। তবে ঘটনাস্থলে যাবার পর বালু উত্তোলনকারীদের পাওয়া যায়নি। মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশে একটি বৈধ বালুমহাল আছে। আমরা ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে বলেছি। আমি বিষয়টি নিয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।’
কেকে/ আরআই