চাঁদপুরের মতলব উত্তরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লক্ষীপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি উপজেলার ষাটনল বাবুবাজার মালোপাড়া, পশ্চিম লালপুরসহ বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্রের সঞ্চালনায় ষাটনল বাবুবাজার মালোপাড়া শ্রীশ্রী লক্ষ্মী দেবী পূজা মণ্ডপে বক্তব্য দেন মণ্ডপ কমিটির সভাপতি হরিচন্দ্র বর্মন, শুভ রঞ্জন বর্মন ও ইঞ্জিনিয়ার রোকনুজ্জামান।
পশ্চিম লালপুর লক্ষ্মীপূজা মণ্ডপে বক্তব্য দেন ওয়ার্ড সদস্য মোশাররফ হোসেন এবং মন্দির কমিটির পক্ষে যতীন্দ্র শীল।
পরিদর্শনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তানভীর হুদা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেন। বিএনপি সব সময় এই সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই, সব ধর্মের মানুষ যেন নিরাপদে ও আনন্দের সাথে উৎসব পালন করতে পারেন।’
‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। মতলব উত্তরসহ সারাদেশে মানুষ আজ পরিবর্তন চায়, সেই পরিবর্তনের আন্দোলনে সবাইকে একসাথে থাকতে হবে।’
তানভীর হুদা ষাটনল জেলে পাড়ার জেলেদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনারা যারা নদীর মানুষ আপনাদের ঘাম-রক্তেই আমাদের এই দেশের ইলিশের ঐতিহ্য টিকে আছে। আমরা জানি, সরকারের পক্ষ থেকে ২২ দিনের জন্য মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সময়টা ইলিশের ডিম দেওয়ার মৌসুম, তাই এই ২২ দিন যদি আমরা সবাই ধৈর্য ধরে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকি। তাহলে আগামী দিনে নদীতে ইলিশের পরিমাণ আরও বাড়বে।’
‘ইলিশ শুধু আমাদের অর্থনীতির সম্পদ নয় এটা আমাদের গর্ব, আমাদের জাতীয় মাছ। এই ইলিশ বাঁচলে আপনাদের জীবিকা বাঁচবে, দেশের গর্ব বাঁচবে। তাই আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, এই নিষেধাজ্ঞার সময় কেউ যেন নদীতে নামবেন না, জাল ফেলেবেন না। আমরা চাই, সরকার যেন এই সময়ে জেলেদের যথাযথ সহায়তা দেয় চাল, খাদ্য, নগদ অর্থ যাতে আপনারা পরিবার নিয়ে কষ্টে না থাকেন। আমি রাজনৈতিকভাবে সব সময় চেষ্টা করব, জেলেদের এই অধিকার যেন কেউ বঞ্চিত করতে না পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আমাদের সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মা ইলিশ বাঁচানোর এই সংগ্রাম শুধু সরকারের না এটা আমাদের সবার দায়িত্ব। চলুন, সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি এই ২২ দিন আমরা নদীকে বিশ্রাম দেব, মা ইলিশকে রক্ষা করব। আগামী মৌসুমে আপনারাই হবেন বিজয়ী।’
পরে তিনি প্রতিটি পূজামণ্ডপে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ ও স্থানীয়দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির কামনা করেন।
কেকে/ এমএ