আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে পিআর পদ্ধতিকে সামনে এনে গণতন্ত্রকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও যুক্তরাজ্য বিএনপি আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসের খান (অপু)।
রোববার বিকেলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়নের ডোমরাকান্দি ও মধ্যনগর গ্রামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র, যা দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে। বিএনপি শুরু থেকেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছে। গণতন্ত্র মানে ভিন্নমতকে সহ্য করা, তা প্রকাশের সুযোগ দেওয়া এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। এটি একটি ধোঁকাবাজির সিস্টেম।
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করে পিআর পদ্ধতিকে সামনে এনে এটিকে ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়; এমন বক্তব্য দেওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং গণতন্ত্রকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। পিআর পদ্ধতির বিষয়ে জনগণের তেমন কোনো আগ্রহ নেই, সাধারণ মানুষ এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানেও না। এটি জনগণের চেনা রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মানুষ চায় পরিচিত এলাকার প্রার্থীকে ভোট দিতে। অপরিচিত ‘দলীয় তালিকা’ ভিত্তিক ভোটিং সিস্টেম তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
ব্যারিস্টার নাসের খান বলেন, বিএনপি দীর্ঘ ১৬/১৭ বছর ধরে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি ভবিষ্যতেও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির পথেই থাকবে। কিন্তু যদি পিআর পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় বা এটিকে ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্নে’ নিয়ে যাওয়া হয়, তা কেবল শেখ হাসিনার রাজনৈতিক লাভের পথ প্রশস্ত করবে এবং দেশে পুনরায় ভয়াবহ অরাজক পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা চাই তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজন করা হোক। পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে বরং বাস্তবসম্মত ও জনগণকেন্দ্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার।
কেকে/ আরআই