রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫,
২৭ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
দেশজুড়ে
তানোরে ডিএপি সারের কৃত্রিম সংকট, কৃষকের ব্যয় বৃদ্ধি
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫৪ পিএম

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সরকার নির্ধারিত পরিবেশকদের (ডিলার) কাছে পর্যাপ্ত সার না পাওয়ায় কৃষকদের ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কিনতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। কৃষি বিভাগ ডিএপি সার ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করলেও ডিলারদের দোকানে সারের সংকট দেখা যাচ্ছে। অথচ খোলাবাজারে বেশি দামে তা সহজেই মিলছে। 

কৃষকদের অভিযোগ, চাহিদা বাড়ার সুযোগ নিয়ে সারের একটি কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে।

জানা গেছে, খুচরা দোকানে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা বাংলা ডিএপি সার বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৩০০ টাকায়। বেসরকারিভাবে আমদানি করা ডিকে ব্র্যান্ডের ডিএপি ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং বিএডিসির সার ১৩০০-১৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সরকার নির্ধারিত ডিএপি সারের মূল্য প্রতি বস্তা ১ হাজার ৫০ টাকা। 

কৃষকদের অভিযোগ, তদারকির অভাবে এই সার খুচরা বিক্রেতা ও কীটনাশকের দোকানে চলে যাচ্ছে। ফলে তারা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের বিসিআইসি সার ডিলার মেসার্স নাবিলা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সেলিম। তার ব্যবসায় দেখভাল করেন বাবু। 

বাবু বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে প্রায় সাড়ে ২৫ মেট্রিক টন ডিএপি সার বরাদ্দ হলেও কৃষি কর্মকর্তা এখন ডিএপি সার বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। তবে যারা আসছেন, তাদের কিছু কিছু করে সার দেওয়া হচ্ছে।’

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সেলিম মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউপির বাসিন্দা এবং তানোরের বরাদ্দের সার কৌশলে তার সাবাইহাটের দোকানেও বিক্রি করেন। 

তিনি অর্থের বিনিময়ে বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকত্ব সনদ নিয়ে ডিলারশিপ পেয়েছেন বলে কৃষকদের অভিযোগ।

কলমা ইউনিয়নের বিএডিসির পরিবেশক সুলতান আহমেদের দোকানে তার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন গত ২৩ সেপ্টেম্বর একজন কৃষককে ডিএপি সার নেই বলে জানিয়েছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর ওই দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সাখাওয়াতের গুদামে ডিএপি সার মজুদ আছে। 

সাখাওয়াত জানান, সেপ্টেম্বর মাসের জন্য তিনি ২৬ মেট্রিক টন ডিএপি সার বরাদ্দ পেয়েছিলেন এবং বর্তমানে সাড়ে ১২ মেট্রিক টন এখনো মজুত আছে। 

চন্দনকোঠা গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলামকে সাখাওয়াত হোসেন ডিএপি সার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। পরবর্তী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘কৃষকেরা এখন নিয়ে মজুদ করবে বলেই তাদের সার দেওয়া হচ্ছে না। আলু চাষের সময় দেওয়া হবে।’

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে সালমা বলেন, ‘কোথাও বেশি দামে সার বিক্রির সুযোগ নেই এবং পর্যাপ্ত সার রয়েছে।’

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কৃষকেরা সার না পেলে বা বেশি দাম চাইলে সরাসরি কৃষি অফিসে অভিযোগ না করে কেন সাংবাদিকদের কাছে যাচ্ছে?’

শংকরপুর গ্রামের কৃষক বাবলু জানান, সার না পাওয়ায় তার নিচু জমির ধানে সার প্রয়োগ করতে পারেননি।

এদিকে, পরিবেশকদের দোকানের দেয়ালে কৃষি বিভাগের লিফলেট লাগানো দেখা যায়, যেখানে ডিএপি সারের উপকারিতা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। 

তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কেকে/ এমএ
আরও সংবাদ   বিষয়:  তানোর   ডিএপি সার   কৃত্রিম সংকট  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
কালাইয়ে বিএনপির গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
ফতুল্লায় ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close