সোনারগাঁয়ে জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:১৫ পিএম আপডেট: ৩০.০৯.২০২৫ ৯:১৭ পিএম

ছবি: প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে কিছু দৈনিক গণমাধ্যমে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভুল ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবাদ জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিদায়ের পরে দেশের সাধারণ জনগণের আগ্রহ ও আকাঙ্খাকে ধারণ করে জামায়াতে ইসলামী তার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। সাধারণ জনগণ দলে দলে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিচ্ছে। অথচ আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ করলাম- একটি জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে একটি অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। যাতে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘জামায়াতের মিছিলে যোগ না দেওয়ায় দিন মজুরকে পিটিয়ে আহত করা হয়।’
জামায়াত নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘কিন্ত ঘটনার বিবরণে জানা যায়- মো. আব্দুল হামিদ তুষার দীর্ঘদিন ধরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো এবং মেসে খেতো। মেসের যিনি খাবার সরবারহ করেন তিনি জানতে পেরেছেন- মো. আবদুল হামিদ তুষার এখন শ্রমিকের কাজ না করে মাদকের ব্যবসায়ে জড়িত হয়ে পড়েছে। তার থাকা-খাওয়ার টাকা বকেয়া পড়ায় পাওনাদার মো. রাশেদুল ইসলাম টাকা চাইতে যায় এবং তাকে বাড়ির রুম ছেড়ে দিতে বলে। টাকা না দিয়ে বরং সে একরোখা আচরণ করে। তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর মধ্যে বাড়ির মালিক সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনা জানতে পেরে তাকে মেসের সদস্য হিসেবে বেড ছাড়তে বলেন। কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে বাড়ির মালিককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় সে। পাশের দেয়ালে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। আঘাতে সে আহত হয়। অথচ বাড়ির মালিক কখনও জামায়াতে ইসলামীর সাথে সম্পৃক্ত ছিলো না। বরং আহত হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং বাড়ি যাওয়ার জন্য ভাড়া দিয়ে দেয়। কিন্তু সে বাড়ি না গিয়ে যাদের সাথে মাদকের ব্যবসায় করে তাদের পরামর্শে মিথ্যা গল্প সাজায়। এটি তার মাদকের ব্যবসায়কে আড়াল করার একটি ফন্দি। মাদক ব্যবসায়ীরা একজন এই সাজানো গল্প বললে সাংবাদিক বন্ধু হুবহু সেই ঘটনা তার হাউজে পাঠিয়ে দেয়। অথচ সেই সাংবাদিকের দায়িত্ব ছিল জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার সাথে কথা বলা। কিন্ত তিনি কারও সাথে কথা না বলে এক পক্ষের কথা শুনে সংবাদ পাঠিয়েছেন।’
‘এই সংবাদে জামায়াতে ইসলামীর সুনাম শুধু ক্ষুন্নই হয় নাই। জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে জনগণের মাঝে ভুল ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। আমারা প্রকৃত ঘটনা জানানোর জন্য সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি এবং আপনাদের প্রকৃত ঘটনা জানালাম। যে সংবাদ মাধ্যমে এই সংবাদ ছাপা হয়েছে তারা আমাদের বক্তব্য প্রচার করে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।’
কেকে/ এমএ